Site icon Jamuna Television

৯০ মিনিটে অমীমাংসিত স্পেন-মরক্কো দ্বৈরথ

ছবি: সংগৃহীত

শেষ ২৪ ম্যাচের সবক’টিতে প্রতিপক্ষের জাল কাপিয়েছে স্প্যানিশরা। রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে শুরু থেকেই নিজেদের চিরাচারিত টিকিটাকার দিকে মনোযোগ দেয় লুইস এনরিকের দল। বল পজেশনে রেখে আক্রমণে গিয়ে পোস্টে একাধিক শট নিয়েও ডেডলক ভাঙতে পারেনি স্পেন। অন্যদিকে, গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেও স্প্যানিশ রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেনি মরক্কো।

গ্রুপের প্রথম ম্যাচে যেভাবে গোলবন্যা বসিয়েছিল লা ফুরিয়া রোহারা, তার কিছুই এর পরের ম্যাচগুলোতে দেখাতে পারেনি এনরিকের শিষ্যরা। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে মরক্কোর গোল মুখে গিয়ে বারবার খেই হারিয়েছে ফেরান তোরেস-অ্যাসেনসিওরা।

গোটা প্রথমার্ধে ৬৯ শতাংশ বল ধরে রেখে স্পেন একটি মাত্র শট নেবার সুযোগ পেলেও তা অন টার্গেটে ছিল না। বিপরীতে স্পেনের পোস্ট লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি শট নেয় মরক্কো। যার মধ্যে একটি শট তো ডান দিকে ঝাপিয়ে পরে উনাই সাইমন না ফেরালে এগিয়ে যেতে পারতো আসরে টিকে থাকা একমাত্র আফ্রিকান দেশটি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোলের জন্য অ্যাসেনসিও, দানি অলমো আর ফেরান তোরেসরা একের পর এক আক্রমণ হানালেও মরক্কোর রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হয় ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য আরও মড়িয়া হয়ে ওঠে এনরিকের দল। প্রথমবারের মত পোস্টে বল রাখলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারছিল না স্প্যানিশরা। প্রতিবারই দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় হাকিমিদের রক্ষণ। ৬৩ মিনিটে মোরাতা-সোলারকে নামিয়েও কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

৮৬ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে স্প্যানিশদের রক্ষণে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল আফ্রিকান প্রতিনিধিরা। কিন্তু অভিজ্ঞতার কাছে কিছুটা মার খেয়ে যায় এবারের আসরের অন্যতম চমক দেখানো দলটি।

ম্যাচের শেষ দিকে ড্যানি অলমোর ফ্রি-কিক থেকে মরক্কোর গোলরক্ষক বোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ালে অতিরিক্ত সময়ে গড়াতো না ম্যাচটি। গোলশূন্যভাবে ম্যাচ শেষ হলে, আসরে ২য় বারের মতো অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায় স্পেন-মরক্কো’র রাউন্ড অব সিক্সটিনের খেলাটি।

আরও পড়ুন: ব্রাজিলের নৃত্য কিনের কাছে ‘অসম্মানজনক’, তিতের ঝাঁঝালো প্রতিক্রিয়া 

Exit mobile version