Site icon Jamuna Television

ব্রিটেন, জাপান ও ইতালি যৌথভাবে বানাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন যুদ্ধ বিমান

ইতালি ও জাপানকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে অত্যাধুনিক সামরিক যুদ্ধ বিমান বানাবে ব্রিটেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই যুদ্ধ বিমানে থাকবে হাইপারসনিক মিসাইল ছোড়ার সক্ষমতা। ধারণা করা হচ্ছে, এটিই হবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফাইটার জেট। ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বিবেচনায় নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে তিন দেশের এই প্রকল্প।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বদলে দিয়েছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট। ভবিষ্যৎ আক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে মনযোগী বিভিন্ন দেশ। তারই অংশ হিসেবে যৌথভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান নির্মাণের চুক্তি করেছে জাপান, ব্রিটেন ও ইতালি।

পরবর্তী প্রজন্মের এই যুদ্ধ বিমান হবে অত্যন্ত দ্রুতগতির। শত্রুপক্ষের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে আক্রমণ চালাতে সক্ষম হবে এটি, উড়তে পারবে কোনো চালক ছাড়াই। অত্যাধুনিক সেন্সর প্রযুক্তি ছাড়াও এতে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা চালককে বিপদের সময় সাহায্য করবে। এই যুদ্ধ বিমান থেকে ছোড়া যাবে হাইপারসনিক মিসাইল।

ধারণা করা হচ্ছে, এটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সামরিক বিমান। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বানাতে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে। বিপুল এ ব্যয়ের কারণেই ইতালি ও জাপানকে সঙ্গে নিয়েছে ব্রিটেন। চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে চলমান ব্রিটেনের টেম্পেস্ট এবং জাপানের এফএক্স- প্রকল্প একত্রিত হয়ে কাজ করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোনো দেশের সাথে এতো বড় পরিসরে সামরিক চুক্তি করলো।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান তৈরির সক্ষমতা আছে এমন অল্প কয়েকটি দেশের একটি আমরা। ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান ও ইতালির সাথে চুক্তি করেছি। এই চুক্তি দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে ব্রিটেনকে আরও খ্যাতি এনে দিবে এই চুক্তি।

চুক্তি অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের মধ্যে শেষ হবে এই ফাইটার জেটের নির্মাণ কাজ। ইউরোপের সাথে জাপানের সামরিক চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। ধারণা করা হচ্ছে, প্রকল্পটিতে আরও কয়েকটি দেশ অংশ নিতে পারে।

এটিএম/

Exit mobile version