Site icon Jamuna Television

মরক্কো, কাতার বিশ্বকাপে রূপকথার নাম

ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপে রচিত হয়েছে অনেক গল্প। তবে রূপকথার ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই মরক্কোর চেয়ে গিয়ে থাকবে না কেউই। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায়ের দিনেও মাঠে শেষ পর্যন্তই লড়েছে আফ্রিকান এই দেশটি। ইনজুরি সমস্যার সাথেই এদিন লড়তে হয়েছে মরক্কোকে। অধিনায়ক রোমেইন সাস পায়ের চোটে মাঠ ছেড়ে গেলেও বাকিরা ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করে গেছে শেষ পর্যন্ত।

পরাজয়ের পরও লন্ডনের রাস্তায় মরোক্কান সমর্থকদের আলোকসজ্জা। ছবি: সংগৃহীত

তবে মরক্কো নিজেদের পারফরমেন্সে গর্ব বোধ করতে পারে বেশ কয়েকটি কারণে। বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালের মতো জায়ান্টদের হারিয়ে একের পর এক অঘটন ঘটিয়েছে অ্যাটলাস লায়নরা। তাছাড়া, সেমিফাইনাল পর্যন্ত প্রতিপক্ষের কাছে কোনো গোল হজম না করেই কাটিয়েছে ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের শিষ্যরা। এমনকি তাদের জালে বল জড়ায়নি টাইব্রেকারেও! কেবল আত্মঘাতী একটি গোলই হয়েছিল বোনোর দেয়াল ভেঙে।

মায়ের সাথে বুফালের আনন্দ ভাগ করে নেয়ার ছবি হৃদয় কেড়েছে অনেকেরই। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্স জয় পেলেও দেখাতে পারেনি দাপট। তবে সেমিফাইনালের ক্ষেত্রে জয়টাই মুখ্য। আর এখানেই বিদায় নিতে হলো মরক্কোকে। তবে আম্রাবাত-আশরাফ হাকিমিদের নিশ্চয়ই নিজ দেশবাসী বরণ করে নেবে বীরের বেশে। কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক মরোক্কান সমর্থকের আওয়াজই প্রমাণ করে, এই যাত্রার শেষ পর্ব অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও আগের খণ্ডচিত্রগুলো ভুলবে না কেউ।

আরও পড়ুন: মরক্কোর স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে ফ্রান্স

/এম ই

Exit mobile version