Site icon Jamuna Television

বিশ্বকাপের নিরাপত্তায় কাতারের আকাশে টহল দিচ্ছে ইউরোফাইটার টাইফুন জেট

কাতার বিশ্বকাপের নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ইউরোফাইটার টাইফুন জেট’ যুদ্ধ বিমান। বিশ্বকাপজুড়ে নিয়মিত টহল দিতে দেখা গেছে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমানগুলোকে। ব্রিটেনের এই ফাইটার জেটগুলো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের চৌকস কর্মকর্তারা।

বিশ্বকাপজুড়ে কাতারের বিমান বাহিনীর সাথে আকাশপথে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ার ফোর্সও। কাতারে বর্তমানে অবস্থান করছেন অন্তত সাড়ে পাঁচশ চৌকস ব্রিটিশ সেনা, পাশাপাশি রয়েছে তাদের আটটি ইউরোফাইটার টাইফুন জেটও।

ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ারফোর্সের কর্মকর্তা ক্রিস রাইট বলেন, আমরা এখানে আকাশ প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করছি। এই টাইফুনগুলো আকাশপথে নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। কাতারের বিমান বাহিনীর সাথে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি আমরা। এমন একটি ক্রীড়া ইভেন্টের অংশ হতে পারাটা দারুণ ব্যাপার।

বিশ্বকাপে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি এয়ার কমোডোর মার্ক বিগাদিকে বলেন, কাতারের সাথে আমাদের এই বিশেষ অপারেশন এখন থেকে ঠিক দুই বছর আগে শুরু হয়েছে। আমরা কিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। অপারেশনের নেতৃত্ব দিচ্ছে কাতার। এই কাজে ছয়টি দেশকে পেয়েছি আমরা।

কাতারের দুখান বিমান ঘাঁটিতে রাখা হয়েছে এই ফাইটার জেটগুলো। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশ আর দর্শকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টুর্নামেন্টজুড়েই আকাশপথে টহল দিতে দেখা গেছে তাদের।

মূলত এই ফাইটার জেটগুলো ১২ স্কোয়ার্ডনের অংশ। ২০১৮ সালে ব্রিটেনের সাথে ইউরোফাইটার টাইফুন জেট কেনার চুক্তি করে কাতার। এরপরই কাতারের বিমান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে গঠন করা হয় এই যৌথ স্কোয়াড্রন। এছাড়াও বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাতারের জলসীমায় ব্রিটেনের রয়্যাল নেভির তিনটি মাইন হান্টার ও একটি লজেস্টিক জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।

ব্রিটেন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স, পাকিস্তান ও তুরস্কের সেনারাও বিশ্বকাপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

/এমএন

Exit mobile version