ফুটবল দ্বৈরথে সবচেয়ে বড় দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। দুই দলের সমর্থক থেকে শুরু করে ফুটবলাররা কেউই রেহাই পাননা এর উত্তাপ থেকে। খেলা শেষ হয়ে গেলেও এর রেশ থেকে যায় বহুদিন। ক্রোয়াশিয়াকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিতের পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে গানে-গানে স্মরণ করলো আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। ব্যাঙ্গাত্মক সেই গানে সেলেসাওদের পাঁচ বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া’সহ বিভিন্ন ইস্যুতে খোঁচা দেয় আলবিসেলেস্তারা। জয়ের পর নেচে-গেয়ে এমন উদযাপন অবশ্য নতুন কিছু নয়।
প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। মেসির নেতৃত্বে ২০১৪’র পর আবারও শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে পৌঁছেছে আলবিসেলেস্তারা। তাই উদযাপনটাও তাদের বাঁধভাঙ্গা। তবে সেই উদযাপনের মাঝেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ব্রাজিলকে খোঁচা দিতে ভুল হয়না আর্জেন্টিনার।
ড্রেসিংরুমে উদ্দাম নৃত্যের সাথে সাথে সেলেসাওদের স্মরণ করেছে আলবিসেলেস্তারা। তবে সেটা ছিল কটাক্ষের। আর্জেন্টাইন সমর্থকদের বানানো একটি প্যারোডি গানে গলা মিলিয়েছে পুরো দল। যেখানে ব্রাজিলের হেক্সা মিশন থেকে শুরু করে ছিল বিভিন্ন বিষয়ে তীর্যকপূর্ণ কথা। গানে বলা হচ্ছিল, ‘পাঁচবারের কুঁকড়ে যাওয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কী হলো?
সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এতে অবশ্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্রাজিল ভক্তরা। স্বয়ং ব্রাজিলিয়ান তারকা রাফিনহা আর্জেন্টিনাকে শুভকামনা জানিয়ে দিয়েছিলেন পোস্ট। তার প্রতিদান কি এভাবেই মিলবে? এমন প্রশ্ন সেলেসাও সমর্থকদের।
ফুটবলে অবশ্য এমন প্রতিযোগিতা থাকেই, একে অন্যকে আক্রমণ করে কথাও বলে। দিনশেষে যেগুলো শুধুমাত্র সমর্থকদের আলোচনার খোরাক হয়ে রয়। কারণ জাতীয় দলের দায়িত্ব শেষে ক্লাবে গিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবলারই হয়ে যাবেন টিমমেট। শেয়ার করবেন একই ড্রেসিং রুম। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাতবেন গল্পে।
/আরআইএম

