Site icon Jamuna Television

বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার ও তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ

ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার ও তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কাতার ভিত্তিক একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, যেখানে ব্রিটিশ এক আইনজীবী বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকারকে সুপারিশ করেছেন বলে জানা গেছে।

এই ব্রিটিশ আইনজীবীর সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, তিনি মানবাধিকার ইস্যুকে পুঁজি করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছেন।

তার অতীত বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত দল জামায়াত ইসলামের পক্ষে আইনজীবী হয়ে ২০১১ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন টবি ক্যাডম্যান নামের এ আইনজীবী। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু হলে তা বন্ধের জন্য এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত জামায়াত ইসলামির নেতাদের রক্ষায় ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী লবিস্ট ফার্মগুলির মধ্যে একটি ‘ক্যাসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’র সঙ্গে। আর এ সময় থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এ লবিস্ট গোষ্ঠী। বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘন করা ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত দল জামায়াতে ইসলাম বিজয়ের মাসে কর্মসূচি ডেকেছে যা মোটেও কাম্য নয়।

২০১১ সাল থেকে এই জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন ক্যাডম্যান। জামায়াত ইসলাম, যাদের তত্ত্বাবধায়নে বাংলাদেশে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ হয়। তাদের মাধ্যমেই দেশের সকল জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালানো হয়। বাংলাদেশের সকল জঙ্গি ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তাদের। আর সেই গোষ্ঠীর পক্ষে লবিং করে বাংলাদেশের ওপর মানবাধিকার ইস্যুতে বিবিধ নিষেধাজ্ঞা ও অর্থনৈতিক অবরোধের জন্য সুপারিশ করে যাচ্ছেন তারা। এই গোষ্ঠীটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের পক্ষ নিয়ে এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই আমরা। যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করেছে, তাদের পক্ষে এ ধরনের লবিং এবং মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে তাদের পক্ষ হয়ে বাংলাদেশের ওপর অবরোধ আরোপের জন্য সুপারিশ করার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। একইসাথে সরকারের মানবাধিকারের বিষয়ে কোনো র্কাযক্রম যেনো এই অপশক্তিকে সুযোগ সৃষ্টি না করতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিবৃতি প্রদানকারীরা হলেন:

১. পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সভাপতি, ঐক্য ন্যাপ

২. রামেন্দু মজুমদার, নাট্যজন

৩. ডা. সারওয়ার আলী, ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন

৪. রাশেদা কে. চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা

৫. ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সভাপতি, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি

৬. অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন

৭. খুশী কবির, মানবাধিকার কর্মী ৮. ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, সাবেক সভাপতি বিএমএ

৯. এম. এম. আকাশ, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১০. অধ্যাপক শফী আহমেদ, সাবেক শিক্ষক, জাগাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

১১. রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১২. সালেহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন

১৩. এ্যাডভোকেট জাহিদুল বারী, সাধারণ সম্পাদক গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিত

১৪. পারভেজ হাসেম, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট

১৫. ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

১৬. রঞ্জিত কুমার সাহা, সিনেট সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৭. জোবাইদা নাসরিন কনা, শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১৮. অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

১৯. এ কে আজাদ, সংস্কৃতি কর্মী

২০. আবদুল ওয়াহেদ, কার্যকরী সভাপতি, জাতীয় শ্রমিক জোট

২১. জহিরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, খেলাঘর

/এসএইচ

Exit mobile version