Site icon Jamuna Television

জাতিসংঘে পশ্চিমা শক্তির তোপের মুখে ইরান

রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করা নিয়ে জাতিসংঘে পশ্চিমা বিশ্বের তোপের মুখে পড়েছে ইরান। জার্মানি-যুক্তরাজ্যের দাবি, মস্কোকে তেহরানের সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহের প্রমাণ রয়েছে। যদিও এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ইরান বলছে, যুদ্ধের আগেই সরবরাহ করা হয়েছে ড্রোন মিসাইল। খবর রয়টার্সের।

এদিকে, তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ায় জাতিসংঘের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ-ইউক্রেন সংঘাত এবং ইরানের ড্রোন সক্ষমতা ইস্যুতে গতকাল সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতিসংঘে বসা বিশেষ অধিবেশনে এ সমালোচনা করা হয়।

জাতিসংঘে নিযুক্ত জার্মান প্রতিনিধি অ্যান্তজ লেনেদার্স্তে বলেন, গেলো কয়েক মাস ধরেই রাশিয়াকে গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান। আমাদের হাতে এমন তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। এর আগে, রাশিয়ায় পাঠানোর সময় ইরানি ক্রুজ মিসাইলের যন্ত্রাংশও আটক করা হয়। শুধু ড্রোনই নয়, রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অস্ত্রও দেয়ার পরিকল্পনা করছে তেহরান। যার পরিণতি হবে খুবই ভয়ংকর।

পাল্টা ক্ষোভ জানিয়ে ইরান দাবি করে, পশ্চিমা অভিযোগ ভিত্তিহীন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি সাইদ ইরাভানি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কারণ, এই ড্রোনগুলোর প্রযুক্তি আমরা যুদ্ধের আগেই রাশিয়াকে সরবরাহ করেছিলাম। ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর পর মস্কোকে আমরা কোনো অস্ত্র সরবরাহ করিনি। যেহেতু যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে, তাই এটা জাতিসংঘের খসড়া চুক্তির বিরোধীও নয়।

অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও ইরানের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি জাতিসংঘ। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি রবার্ট উড বলেন, ইরান যে তার অস্ত্র এবং সমরাস্ত্রের প্রযুক্তি রাশিয়াকে সরবরাহ করছে সে বিষয়ে আমরা আগেই অবগত ছিলাম। বিষয়টি নিয়ে আমরা বারবার জাতিসংঘকে তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু বিষয়টি তদন্তের জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো কমিটি পাঠানো হয়নি। সংস্থাটি রুশ হুমকিকে হালকাভাবে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ একাধিকবার সতর্ক করার পরও বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

গেলো কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে এই ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে রুশ বাহিনী। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পরই ধ্বংস হয় ড্রোনটি। বিস্ফোরকে ভরা বিমানগুলোর ওজন আকারভেদে আড়াই থেকে সাড়ে ২২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

/এমএন

Exit mobile version