Site icon Jamuna Television

আমার সাথে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে লাভ নেই: এমি মার্টিনেজ

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বীরত্ব দেখিয়ে হয়েছিলেন জয়ের অন্যতম নায়ক। তারপর পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে গোল্ডেন গ্লাভস জয় করে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ তার দেহভঙ্গির জন্যও এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রে। আর্জেন্টিনার রেডিও স্টেশন লা রেড’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেই উদযাপন নিয়ে মুখ খুলেছেন বিশ্বকাপের সেরা এই গোলরক্ষক। এমি বলেছেন, আমি এমনটি করেছিলাম কারণ, ফ্রান্সের সমর্থকরা আমাকে দুয়োধ্বনি দিয়েছে। আমার সাথে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে খুব একটা লাভ হবে না।

লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়া তর্কযোগ্যভাবে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা ফাইনালেই ছিল এমির বীরত্বগাথা। ম্যাচের অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে অসাধারণ দক্ষতায় কোলো মুয়ানিকে গোলবঞ্চিত করেছেন তিনি। তারপর টাইব্রেকারে ঠেকিয়েছেন কিংসলে কোম্যানের শট। অরেলিয়া শুয়ামেনির পেনাল্টি মিস করার জন্যও যথেষ্টই করেছেন এই পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ। তাছাড়া, পুরো আসরজুড়েই আর্জেন্টাইন গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন এমি মার্টিনেজ।

অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষক স্বীকার করেছেন, ফ্রান্স পুরো ম্যাচেই লড়াই করে শেষদিকে পেছন থেকে এসে ধরে ফেলে আর্জেন্টিনাকে। তিনি বলেন, অনেক ভুগতে হয়েছে আমাদের। ভেবেছিলাম, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছেই আছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত ফিরে আসতে সমর্থ হয়। খেলাটা জটিল ছিল। আর, এই ম্যাচে যে ভুগতে হবে আমাদের, সেটাও যেন নিয়তি নির্ধারিত।

ম্যাচের শেষ সময়ে কোলো মুয়ানির শট ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার সেই সেইভ নিয়েও কথা বলেন, এমি মার্টিনেজ। তিনি বলেন, ফ্রান্সের সামনে সুযোগ এসেছিল জয়ের। ভাগ্য ভালো যে, আমি পা দিয়ে শটটা প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছি। এই মুহূর্তটিতে বাস করার স্বপ্ন সারা জীবন দেখে এসেছি। এই সময়কে বর্ণনা করার সাধ্য আমার নেই। ইংল্যান্ডের উদ্দেশে অনেক ছোট বয়সেই আমাকে ঘর ছাড়তে হয়েছিল। তাই, এই জয় আমি আমার পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই।

আরও পড়ুন: জন্মস্থান রোজারিও বীরের বেশে বরণ করে নিলো মেসিকে

/এম ই

Exit mobile version