Site icon Jamuna Television

এই শিরোপা ম্যারাডোনারও, বিশ্বজয়ের পর মেসির চিঠি

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বসেরা দল এখন আর্জেন্টিনা। কাতারে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে তৃতীয়বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে তিন দিন। তবে সেই রেশ এখনও কাটছে না। এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিশেষ পোস্ট দিয়েছেন মেসি। সেখানে দীর্ঘ এই যাত্রার কথা বর্ণনার সাথে মেসির এই চিঠিরূপী পোস্টে এসেছে, এই বিশ্বকাপ দিয়াগো ম্যারাডোনারও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন কাতার বিশ্বকাপকে নিজের করে নেয়া লিওনেল মেসি। ইনস্টাগ্রামে রেকর্ডও গড়েছে এলএমটেনের একটি পোস্ট। তবে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) মেসির পোস্টটি সত্যিই কিছুটা বিশেষ। আবেগমথিত সেই চিঠিতে মেসি বিশ্বকাপ যাত্রার পথটি কেমন ছিল, সে বিষয়ে আলোকপাত করার সাথে স্মরণ করেছেন এমন অনেককেই, আর্জেন্টিনার এই সাফল্য প্রত্যক্ষ করার জন্য যারা এখন আর নেই।

মেসি সেই পোস্টে লেখেন, গ্রন্দোলি থেকে কাতার বিশ্বকাপ, মাঝে কেটে গেছে ৩০ বছর। এই তিনটি দশক ধরেই ফুটবল আমাকে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে; কখনও কখনও কষ্টও পেয়েছি। আমি সব সময় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখে এসেছি। অনেক সময়ই মনে হয়েছে, স্বপ্নটা কেবল স্বপ্নই থেকে যাবে। তবু সেই লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা কখনোই থামাইনি।

মেসি আরও বলেন, আমরা যে বিশ্বকাপ জয় করেছি, তা সকলের। যারা আগে চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি, এই শিরোপা তাদেরও। যেমন, ২০১৪ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সবাই সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সবাই যেভাবে লড়ে গেছে, পরিশ্রম করেছে, আমার মতো করেই বিশ্বকাপ জয় করতে চেয়েছে- এই বিশ্বকাপ তাদেরও। কারণ, সেবারও আমরাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারতাম। এই বিশ্বকাপ দিয়েগো ম্যারাডোনারও, যিনি স্বর্গ থেকে আমাদের সাফল্যে উল্লাস করছেন। এই বিশ্বকাপ তাদেরও, যারা ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে সব সময় সমর্থন দিয়ে গেছে।

লিওনেল মেসি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আরও বলেন, এই বিশ্বকাপ সবশেষে তাদের জন্য যারা আমাদের দলটিকে দারুণভাবে সংগঠিত করতে সাহায্য করেছে। আমাদের কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে জাতীয় দল সংশ্লিষ্ট আরও অনেকেই আছে, যারা কখনোই সামনে না এসে নীরবে নিজের কাজটা করে গেছে। তাদের দিনরাতের নিরলস শ্রমের ফলেই আমাদের কাজটা অনেক সহজ হয়েছে। যাত্রাপথে ব্যর্থতা অবিচ্ছেদ্য এক অংশ, যা আমাদের শেখায় বাকি পথটুকু কীভাবে যেতে হবে। তাই হতাশা ছাড়া সাফল্য অর্জন অসম্ভব। সবাইকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ। ভামোস আর্জেন্টিনা!

আরও পড়ুন: মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছের কথা বলে গিয়েছিলেন বাবা; ১৪ বছর পর পূরণ করলেন দিবালা

/এম ই

Exit mobile version