Site icon Jamuna Television

ড্রোনের অনুপ্রবেশ: উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নতুনভাবে ছড়িয়েছে উত্তেজনা

অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম হাতে কয়েকজন দক্ষিণ কোরীয় সৈনিক।

ড্রোনের অনুপ্রবেশকে ঘিরে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে নতুনভাবে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। বারবার শান্তিপূর্ণ আলোচনায় গুরুত্বারোপ করলেও সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) উত্তর কোরিয়ার ড্রোন লক্ষ্য করে অন্তত ১০০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে সিউল। দেশটির প্রেসিডেন্ট জানান- শিগগিরই নতুন প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তোলা হবে। এদিকে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেছেন, পুরো বিশ্বের তরফ থেকে সম্ভাব্য ধাক্কা সামলাতে প্রয়োজনীয় কৌশলগত পরিবর্তন আনা হবে। খবর রয়টার্সের।

চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার আকাসসীমা অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ার ৫টি ড্রোন। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটে এ অনুপ্রবেশ। একটি ড্রোন রাজধানী সিউলের দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলো। পরে, তাড়া খেয়ে দিরে যায় নিজ ভূখণ্ডে।

একে স্পষ্ট উস্কানি আখ্যা দিয়েছেন দক্ষিন কোরীয় প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ড্রোনগুলো প্রতিরোধে নিয়োগ দেয়া হয় ফাইটার জেট ও অ্যাটাকিং হেলিকপ্টার। ছোঁড়া হয় ১০০ রাউন্ড গুলিও। তবে, ভূপাতিত করা যায়নি একটি ড্রোনও। একে প্রতিরক্ষা বাহিনীর ব্যর্থতা হিসেবেই তিনি উল্লেখ করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল এ প্রসঙ্গে বলেন, আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দেশের ভেতরে উত্তর কোরিয়ার ড্রোনের প্রবেশ এটাই প্রমাণ করে যে আমাদের প্রতিরক্ষা বলয়ে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। পর্যাপ্ত সামরিক প্রস্তুতিও নেই আমাদের। শান্তিচুক্তি বা কোরীয় সুনামের প্রতি যে পিয়ংইয়ং কোনো ভরসা করে না- এ ঘটনাই তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। ঘটনাটি মাথায় রেখে, খুব শিগগিরই ড্রোন ইউনিট গড়ে তোলা হবে। একইসাথে বাড়ানো হবে নজরদারি।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনভর ছিলো উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীন ওয়ার্কাস পার্টির বার্ষিক সভা। সেখানে, পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট নির্ধারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। একইসাথে, পুরো বিশ্বের চাপ সামলাতে কর্ম-পরিকল্পনা নির্ধারণের কথাও বলেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা।

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন তার বক্তব্যে বলেন, কষ্টসাধ্য এবং ভয়াবহ সংগ্রামের মধ্যে এ বছর রাজনীতি-প্রতিরক্ষা-অর্থনীতি এবং সংস্কৃতিতে উন্নতি করেছে উত্তর কোরিয়া। কারণ, পুরো বিশ্ব একঘরে করে রেখেছে আমাদের, তার ওপর আছে নিষেধাজ্ঞা। নতুন বছরে সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় আমাদের কৌশলগত পরিবর্তন আনতে হবে। তাহলেই, সব সংকট উৎরে আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ৬০টির বেশি মিসাইল ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। একদিনেই ছোঁড়া হয়েছিলো ২৩টি ছোট-বড় ক্ষেপণাস্ত্র। যার মাঝে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল ছিলো বলে ধারণা সমরবিদদের।

/এসএইচ

Exit mobile version