Site icon Jamuna Television

‘পশ্চিমাদের সহায়তার কারণেই টিকে রয়েছে ইউক্রেন’

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পশ্চিমাদের কাছ থেকে সামরিকসহ নানা সহায়তা পাচ্ছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ রয়েছে এ তালিকায়। যাদের বেশিরভাগই ইউরোপের। বিশেষজ্ঞদের মত, পশ্চিমাদের বিপুল সামরিক সহায়তার কারণেই যুদ্ধে ভাবনার চেয়েও বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে জেলেনস্কির সেনারা। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই অনেকে বলছেন এই সংঘাত পরিণত হয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রক্সি ওয়ারে। খবর রয়টার্সের।

দশ মাস পেরিয়েছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। কিছু জায়গায় নিয়ন্ত্রণ হারালেও রণক্ষেত্রে এখনও সমানে সমান লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। অনেক বিশ্লেষকের মতে, পশ্চিমা সহায়তার কারণেই দীর্ঘ সময় বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর দেশ রাশিয়ার বিপক্ষে টিকে রয়েছে ইউক্রেন।

যুদ্ধের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনকে সামরিক, মানবিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। মার্কিনিরা ছাড়াও অন্তত ৪০টি দেশ সাহায্য পাঠিয়েছে ইউক্রেনে। বেশিরভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। এছাড়া কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশও রয়েছে তালিকায়।

এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৫২ বিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলো। জানুয়ারিতে আরও ১৮ বিলিয়ন ইউরো দেয়ার কথা ইইউ’র। যুক্তরাষ্ট্র একাই দিচ্ছে প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক ও সামরিক সহায়তা। যার বেশিরভাগই পেয়ে গেছে ইউক্রেন। নতুন করে ৪৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৪২ বিলিয়ন ইউরোর বেশি সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ৯০ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা পাবে ইউক্রেন।

ইউক্রেন সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তাও পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। জার্মান প্রতিষ্ঠান কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির তথ্যমতে, এ সংখ্যা ২২ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে সামরিক খাতে তৃতীয় সর্বোচ্চ সাহায্য পেয়েছে জেলেনস্কি প্রশাসন। জার্মানি থেকেও বিপুল সামরিক সরঞ্জাম পাচ্ছে দেশটি। কোনো দেশ সরাসরি অস্ত্র দিচ্ছে তো আবার কোনো দেশ দিচ্ছে অস্ত্র কেনার অর্থ।

খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই বাইডেন প্রশাসনের এই বিপুল সহায়তার সমালোচনা করছেন। রিপাবলিকান নেতা মারজোরি টেইলর গ্রিনির দাবি, ইউক্রেনের এই সংঘাত রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রক্সি ওয়ারে পরিণত হয়েছে। আমেরিকানদের হয়ে ময়দানে যুদ্ধ করছে ইউক্রেন।

এটিএম/

Exit mobile version