Site icon Jamuna Television

বোমা ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকান লুট করা ‘ল্যাংড়া হাসান চক্র’ গ্রেফতার

ল্যাংড়া হাসান চক্রের আটককৃত সদস্যরা।

এক একটি ডাকাতি করতে তারা সময় নেয় এক মাস করে। পরিকল্পনা করে ওই এলাকায় ঘরভাড়া নিয়েই থাকতো ডাকাতরা। কয়েকবার রেকি করে একপর্যায়ে করতো ডাকাতি। বোমা ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ঢুকে, মুহুর্মুহু গুলি করে করতো ডাকাতি। দুর্ধর্ষ এ ডাকাত দলের নাম ‘ল্যাংড়া হাসান চক্র’। এদের হাতে মারাও গেছেন বেশ কয়েকজন। ডাকাতদলটিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, শতাধিক স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি করেছে চক্রটি।

ময়মনসিংহের ভালুকার নাজিমউদ্দীর রোডের প্রদীপ জুয়েলার্স। এ বছরের ২০ সেপ্টেম্বর দোকানে নেমে আসে অন্ধকার একটা দিন। বোমা ফাটিয়ে বা অস্ত্র দেখিয়েই নয় বরং একের পর এক গুলি করা হয় দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের। লুট করা হয় ৪০ ভরি পরিমাণ স্বর্ণ ও প্রায় ৩০ লাখ টাকা।

তিন বছর আগেও ঘটে হাসান চক্রের আরেকটি ঘটনা ডাকাতির। সেখানেও শুরুতে বোমা ফাটিয়ে, অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে করতে মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণপট্টির নাগ জুয়েলার্সে ঢোকে ডাকাত দল। কোটি টাকার স্বর্ণ নিয়ে পালানোর সময় ২ পুলিশ সদস্যকেও গুলি করে পালায় তারা।

ডিএমপি’র ডিবি (অতিরিক্ত) কমিশনার হারুন অর রশীদ এ প্রসঙ্গে বলেন, যে দোকানে তারা ডাকাতি করবে তার পাশেই একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তারা আগে ওই দোকান ও আশেপাশের জায়গা রেকি করে। দুই-তিনদিন রেকি করার পর তারা ডাকাতি করতো। ডাকাতির একদিন আগে তাদের মাস্টারমাইন্ড ল্যাংড়া হাসান দেশ্যে আসতো। ডাকাতির আগে তারা বোমা ফাটিয়ে দোকানে ঢুকতো, এরপর ৬-৭ মিনিটের মধ্যে তারা পুরো দোকানটা লুট করে নিয়ে যেতো।

এ চক্রের কৌশল আরও অভিনব। এক একটি ডাকাতির পর হাসান পালিয়ে যায় ভারতে। সেখানে বসেই পরিকল্পনা করে ডাকাতি করতে কয়েকদিনের জন্য ফিরে আসে দেশে। চক্রের মূলহোতা হাসানকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, ভারতে নিজের নামে নাগরিকত্ব কার্ডও করে নিয়েছে সে।

প্রসঙ্গত, গত প্রায় বছরখানেক ধরে তদন্ত করে অবশেষে শতাধিক ডাকাতির সাথে জড়িত ল্যাংড়া হাসান ও তার ৬ সহযোগীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে ঢাকার ডিবি পুলিশ। ডাকাতি করে পাওয়া স্বর্ণ এরা ঢাকার তাঁতীবাজারে বিক্রি করতো বলে জানা গেছে।

/এসএইচ

Exit mobile version