Site icon Jamuna Television

‘সেরা আয়োজন’, তবু বিশ্বকাপ শেষে কেন কমলো পুতিনের জনপ্রিয়তা?

সফল ও সুন্দরভাবে শেষ হল বিশ্বকাপ। সবাই সন্তুষ্ট। নানা শঙ্কা থাকলেও কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। আয়োজক রাশিয়ার আন্তরিকতা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোম বিদেশি দর্শক-খেলোয়াড়-ফিফা সবার কাছেই ছিল সন্তোষজনক।

গতকাল ফাইনাল শেষে ফিফা সভাপতি গিয়ানি ইফান্তিনো তার মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন এভাবে- ‘সত্যিই এটা ছিল এক অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে এখানে এক ধরনের আবেগ অনুভব করছিলাম।’ ‘ইতিহাসের অন্যতম সেরা বিশ্বকাপ’ আখ্যা দিয়ে ফিফা প্রধান রাশিয়ান কর্তৃপক্ষকে তার ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

পুতিন এমনটাই চেয়েছিলেন। সফলভাবে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট আয়োজন করে দেশে এবং দেশের বাইরে তার ইমেজকে আরো সংহত করবেন। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষে অদ্ভুতভাবে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎ করে বড় আকারেই কমে গেছে পুতিনের জনপ্রিয়তা!

ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, রাশিয়ান রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একটি প্রতিষ্ঠানের জরিপে দেখা যাচ্ছে গত মার্চে ৭৭ শতাংশ রুশবাসীর জনসমর্থন পাওয়া পুতিন বিশ্বকাপ শেষে পেয়েছেন মাত্র ৬৩ শতাংশের সমর্থন। চার মাসের ব্যবধানে ১৪ শতাংশ কমতি!

এর পেছনের কারণও জানাচ্ছে দ্য গার্ডিয়ান। ১৪ জুন বিশ্বকাপ শুরুর দিন যখন রুশরা ফুটবল উন্মাদনায় ভাসছেন তখন নতুন একটি আদেশ জারি করে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদের মুখে থাকা পেনশন বিল কার্যকর ঘোষণা করা হয়। নতুন নিয়মে নারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫৫ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৩, আর পুরুষদের ক্ষেত্রে এই বয়স করা হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ বছর।

এমনিতেই বেকারত্ব দিন দিন বাড়তে থাকা রাশিয়ায় চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন তরুণরা। বর্তমান কর্মচারীদের বয়স এভাবে বাড়ানোয় চাকরির বাজারে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এমন শঙ্কায় থাকা তরুণ ও তাদের অভিভাবকরা পুতিনের এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী। মূলত এই জনসংখ্যাই এখন তাদের নেতার ওপর থেকে আস্থা প্রত্যাহার করেছেন।

Exit mobile version