Site icon Jamuna Television

বাইক্কা বিলে কমেছে পরিযায়ী পাখি, বেড়েছে চোরা শিকারী

শীতের শুরু থেকেই পরিযায়ী পাখিদের কলকাকলীতে মুখর হয়ে উঠত মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিল। কিন্তু, তীব্র খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বিলের ওপর মানুষের নানামুখি চাপে এ বছর এখনও আসেনি পরিযায়ী পাখি। তবে শীত আরও জেঁকে বসলে পাখি আসবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে মূলত শীত মৌসুমেই। পাখিদের কোলাহলে মুখর থাকে খাল-বিল ও হাওড়। দেশি প্রজাতির সাথে দেখা যায় লেনজা, পাতি, বেলে হাঁস, পান সরালিসহ অন্যান্য নানা রকমের পাখির। তবে এ বছর মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিলে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।

২০০৩ সালে পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয় বাইক্কা বিলকে। এতে পর্যটক ও চোরা পাখি শিকারি বাড়লেও, কমেছে পাখির উপস্থিতি। আগের মতো ঝাঁক বেধে পরিযায়ী পাখির দেখা মিলছে না এ অভয়াশ্রমে। মানুষের উৎপাত, খাদ্য ও আবাস সংকটে কমছে পাখির সংখ্যা। শীত বাড়লে আরও পাখি আসবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি ইনাম আল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, যতো বেশি ফ্যাক্টরি-ইন্ডাস্ট্রি হবে পাখির জন্য জায়গা ততো কমে যাবে। কারণ, পাখির থাকা, বসবাস ও প্রজননের জন্য জায়গা লাগে। এগুলো দিন দিন সংকীর্ণ হচ্ছে।

মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, খাবারের সংকটের কারণে পাখিগুলো আপাতত শাপলা-পদ্ম জন্মায় এরকম জলাশয়ে অবস্থান করছে।

খাবার ও আবাস সংকট কাটিয়ে উঠলে বাইক্কা বিলে বছর জুড়েই দেশি-বিদেশি পাখির উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব।

/এসএইচ

Exit mobile version