Site icon Jamuna Television

মাঝ আকাশে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের দ্বন্দ্ব

মধ্য আকাশে দ্বন্দ্বে জড়ালো চীন-যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান। সংঘর্ষ এড়াতে কৌশল অবলম্বন করে মার্কিন বিমান বাহিনী। তবে চীনের দাবি, আঞ্চলিক অখণ্ডতার ব্যাপারে নাক গলাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করে পেন্টাগন। গত কয়েক দিন, তাইওয়ান ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যে চলছে বাগযুদ্ধ। হুমকি-হুঁশিয়ারি দিতে বাড়ানো হয়েছে সামরিক মহড়াও। গত ১ ডিসেম্বর দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশ সীমায় মার্কিন সেনাবহরকে বিরল হুমকিতে ফেলে চীন। ৩০ আরোহী নিয়ে উড়তে থাকা ‘আর সি-১৩৫ রিভেট জয়েন্ট’ এর ২০ ফুটের কাছাকাছি চলে আসে চীনের জে-১১ যুদ্ধ বিমান।

একে স্পষ্টভাবে হুমকি আখ্যা দেয় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। যাতে, জানানো হয়- সংঘাত এড়াতে কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। একইসাথে বলা হয়, রুটিন টহলের অংশ হিসেবেই উড়ছিল যুদ্ধবিমানটি।

বিষয়টি চীন সরাসরি বিষয়টি স্বীকার না করলেও, বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাণিজ্য, অভ্যন্তরীন ইস্যু এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার ব্যাপারে একটু বেশিই নাক গলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে, বাতিল করা হয়েছে তিনটি যৌথ সামরিক কর্মসূচি। সমঝোতা চাইলে নিতে হবে উপযুক্ত উদ্যোগ।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তান কেফেই বলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করছে যুক্তরাষ্ট্র। অভ্যন্তরীন ইস্যুতেও নাক গলাচ্ছে। যার ফলে, প্রতিনিয়ত সেনাবাহিনীর মধ্যে বাড়ছে সংঘাত। যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিকার অর্থেই ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সংলাপ চায়, তাহলে দেখাতে হবে আন্তরিকতা, নিতে হবে কার্যকরী পদক্ষেপ।

এদিকে, উত্তেজনার মধ্যেই, তাইওয়ানের বিষয়ে নিত্য-নতুন সিদ্ধান্ত দিয়ে যাচ্ছে চীন। সেনাবাহিনীর কর্মসূচি বৃদ্ধির পাশাপাশি আরোপিত হচ্ছে নানা বিধিমালা।

চায়না টাইমসের চেয়ারম্যান ওয়াং ফেং বলেন, সেনাবাহিনীতে চার মাসের পরিবর্তে একবছর কাজ করলে কি কোনো প্রভাব পড়বে? কারণ, দ্রুত সামাজিক পরিবর্তন হচ্ছে। প্রায় অর্ধেক বছরের মধ্যে সমাজ, বাজার, অর্থনীতি এবং মহামারি পরিস্থিতি বদলাবে। একজন শাসককে বাস্তবসম্মত উপায়ে সীমান্ত সম্পর্ক দেখা উচিত। প্রভাব বিস্তারের জন্য কারো ওপর নিজস্ব মতাদর্শ চাপানো ঠিক না।

এর আগে, গত সপ্তাহেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ ঘটায় চীনের ৭১টি যুদ্ধবিমান। দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সেসব তাড়িয়ে দেয় প্রশাসন। তবে, বছরের সবচেয়ে বড় আগ্রাসী আচরণ হিসেবে বিষয়টিকে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এসজেড/

Exit mobile version