Site icon Jamuna Television

গোল করার পাশাপাশি গোলকিপিংও করতেন ‘অলরাউন্ডার’ পেলে

দলের প্রয়োজনে গোলকিপিংও করতেন পেলে। তার সতীর্থদের দাবি, চাইলেই ব্রাজিলের এক নম্বর গোলরক্ষক হতে পারতেন পেলে।

গোলদাতা থেকে গোলরক্ষক, বলছি ফুটবল কিংবদন্তী পেলের কথা। গোল করার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই গোলপোস্ট রক্ষার দায়িত্বটাও পালন করতেন ‘কালো মানিক’। পেলের সতীর্থরা জানিয়েছেন, ক্লাবে দলের বিকল্প গোলরক্ষক ছিলেন পেলে। জাতীয় দলেও কিপার হিসেবে মাথায় রাখা হতো তাকে!

বিশ্বকাপ জয় করেই ব্রাজিলের সীমানা ছাড়িয়ে পেলের জাদু ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। ক্রীড়াঙ্গনে তিনিই প্রথম বৈশ্বিক মহাতারকা রূপে আবির্ভুত হন। হয়ে ওঠেন লাখো-কোটি মানুষের নায়ক ও প্রেরণার উৎস। পেলেকে আমরা সবাই মূলত চিনি গোলস্কোরার হিসেবে। স্ট্রাইকারের বাইরেও তার ছিলো আরও একটি পরিচয়। গোল করতে ভালোবাসতেন কালো মানিক। তবে গোল রুখতেও জুড়ি ছিলো না তার।

গোলরক্ষকের ভূমিকা পালনে বেশ সিরিয়াসও ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ গোলদাতা। আন্তর্জাতিক ও ক্লাব পর্যায়ে পেলের কিপিংয়ের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন পেলের সতীর্থরা। ১৯৫০, ৬০ এবং ৭০’র দশকে ব্রাজিল দলে একমাত্র গোলরক্ষক থাকার রহস্যের মূলেও আছেন পেলে। ব্যাপারটা এ পর্যায়ে গিয়েছিলো যে, সে সময় ধরেই নেয়া হতো গোলকিপারের কিছু হলে তার জায়গায় দাঁড়াবেন পেলে। কেননা তিনি যে অলরাউন্ডার। তাই তো সতীর্থ সাবেক গোলকিপার লালা বলেই ফেলেছিলেন, পেলে নির্দ্বিধায় ব্রাজিলের এক নম্বর গোলরক্ষক হতে পারতেন।

১৯৬৩ সালে পাকায়েম্বু স্টেডিয়ামে সান্তোস ও গ্রেমিওর ম্যাচে গোলকিপিং করেছিলেন পেলে।

পেলে তার ক্যারিয়ারে সান্তোস এফসির হয়ে গোলরক্ষকের ভূমিকা পালন করেছিলেন চারবার। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ১৯৬৪ সালের ব্রাজিলিয়ান কাপের সেমিফাইনাল। সেই ম্যাচে হ্যাট্ট্রিক করেছিলেন এই কিংবদন্তী। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে সান্তোসের গোলকিপার গিলমার লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে, গোলপোস্টে দেখা যায় পেলেকে। সে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সান্তোস।

/এসএইচ

Exit mobile version