Site icon Jamuna Television

তীব্র শীতে কাঁপছে দিল্লি; চরম ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নিচে হাজারো মানুষ

তীব্র শীতে কাঁপছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। তাপমাত্রা নেমে গেছে সাড়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমন ঠাণ্ডার মধ্যেও হাজার হাজার মানুষকে রাত কাটাতে হচ্ছে ফুটপাতে, খোলা আকাশের নিচে। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। স্বেচ্ছাসেবী কিছু সংগঠন শীতার্তদের পাশে দাঁড়ালেও, প্রয়োজনের তুলনায় সহায়তা মিলছে সামান্যই। খবর এনডিটিভির।

হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডাও গায়ে নেই পর্যাপ্ত শীতের কাপড়। প্রকৃতির সাথে কিছুতেই যেন পেরে উঠছে না দিল্লির ফুটপাথবাসীদের জীর্ণ শরীর। রাত যতো বাড়ে, কুয়াশার চাদর তত পুরু হয় নয়াদিল্লিতে। বাড়তে থাকে ঠাণ্ডার তীব্রতা। গৃহহীনদের জন্য এ যেন কঠিন এক পরীক্ষা। মাথার ওপর এক টুকরো ছাদের সন্ধানে এদের অনেকেই ঠাঁই নেয় ওভারব্রিজের নিচে, আন্ডারপাস বা পাতালরেল স্টেশনে। ছেঁড়া কাঁথা, জীর্ন কম্বলে চলে শীত ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা। আবর্জনা পুড়িয়েও উষ্ণতার খোঁজে অনেকে।

শীতার্ত এসব মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যারা আশ্রয়হীনদের রাত্রীকালীন আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। একজন স্বেচ্ছাসেবী বললেন, আমরা রাত ১০টায় বের হই। শীতার্তদের বিভিন্ন কেন্দ্রে নিই। নিবন্ধনের পর রাতে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কম্বল ও ম্যাট্রেস দেয়া হয়, যাতে তারা ঘুমাতে পারে।

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দিল্লিতে এরকম আশ্রয়কেন্দ্র আছে ১৯৫টি। যেগুলোয় সর্বোচ্চ ১৯ হাজার মানুষের ঠাঁই হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। মাথা গোঁজার ঠাঁই হলেও এসব আশ্রয়কেন্দ্র বসবাসের অনুপযোগী। নোংরা, বিদ্যুৎ-পানির অভাবসহ জীবন ধারনের ন্যুনতম সুবিধা নেই। এমনকি ব্যবহারযোগ্য টয়লেট বা বিশুদ্ধ খাবার পানিও সেখানে নেই। খোলা স্থানেই টয়লেট করে সবাই। সেখানকার শিশুরা টিকা পর্যন্ত নেয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের গণশুমারিতে দেখা যায়, দিল্লিতে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৪৭ হাজার। বেসরকারি তথ্য বলছে, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখের ওপর।

/এসএইচ

Exit mobile version