Site icon Jamuna Television

উত্তরাঞ্চলে হাঁড়কাপানো শীত, তাপমাত্রা নামতে পারে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে

ছবি: সংগৃহীত

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:

চলছে শীতলতম মাস জানুয়ারি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে উত্তরাঞ্চলের কোনো কোনো জেলায় তাপমাত্রা ৬ থেকে ১০ ডিগ্রিতে নেমে আসার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শীতের তীব্রতা বাড়ায় রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে আগুন পোহানোর সময় দগ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গত ৭ দিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়ে মারা গেছেন এক গৃহবধূ।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ও ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, এবার ১৫ দিন আগেই শীত আসলেও তীব্রতার আঁচ পায়নি উত্তরের মানুষ। নতুন বছরের শুরুর দিন থেকেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সাথে কুয়াশার চাদর। এই অবস্থায় চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে হাঁড়কাপানো শীত অনুভূত হওয়া শুরু করেছে বৃহস্পতিবার থেকে। আগামী ৩ থেকে চারদিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলার তাপমাত্রা ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামবে। ইতোমধ্যে রংপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর এবং পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রংপুরেও ১১, সৈয়দপুওে ৯ দশমিক ৬, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১ দশমিক ০, নীলফামারীর ডিমলায় ১০ দশমিক ৬ এবং পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। শুক্রবার তাপমাত্রা আরও নামার কথা জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট সূত্র জানিয়েছে, গত একমাসে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হওয়া ৪২ রোগীকে বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৩৪ রোগী ইউনিটে ভর্তি করার হলেও ১০ জন দগ্ধকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ১ জানুয়ারী মারা গেছেন আফরোজা নামের এক গৃহবধু। তার বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়ায়। এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৩ রোগী।

ইউনিটটির প্রধান ডা. এম এ হামিদ পলাশ জানিয়েছেন, এবার রোগী ভর্তির সংখ্যা কম। শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের শীত থেকে বাঁচতে আগুন না পোহানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। গত ১ মাসে একজন মারা গেছে। আরেকজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে ঢাকায় রেফার্ড করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আসন্ন শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে শিশু ও বৃদ্ধদের দেরি করে ঘুম থেকে উঠার পাশাপাশি কৃষকদের কৃষি বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার তাগাদা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এটিএম/

Exit mobile version