Site icon Jamuna Television

পুঁজিবাজারে তারল্য সংকটের সাথে আস্থার সংকট

আলমগীর হোসেন:

দরপতনের তলানিতে নেমে গেছে দেশের পুঁজিবাজার। প্রতিদিনই কমছে সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ। এতে হতাশা বাড়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। পুঁজি হারিয়ে হা-হুতাশ করছেন তারা। চরম সংকটের সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিষ্ক্রয়তায় ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঞ্চয় কমে যাওয়ায় তারল্য প্রবাহ কমেছে পুঁজিবাজারে। তারল্য সংকটের সাথে যোগ হয়েছে আস্থার সংকট। যে কারণে কমছে লেনদেনের পরিমাণ। ফ্লোর প্রাইসের কারণে মার্জিন লোন দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোও আটকে গেছে বলেও জানান তারা।

বিনিময় সিকিউরিটজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুব্রত রায় বলেন, সবকিছু মিলিয়ে দেশের এ অবস্থায় সবাই আস্থাহীনতায় ভূগতেছে। এজন্য মার্কেটের এ অবস্থা। যখন মানুষের আস্থা ফিরে আসবে, তখন আবার বিনিয়োগ বাড়বে।

ডিবিএ এর সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বলেন, সংকটের কারণে বিনিয়োগ করছেন না। সংকট মোকাবেলা করবে নাকি জীবনধারণ করবে? তারা জীবনধারণকে বেছে নিচ্ছে। এজন্য অনেকেই বিনিয়োগ করছেন না। আমাদের এখন মূল সমস্যা আস্থার সংকট।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া নিয়েও ভিন্নমত আছে অনেকের মধ্যে। বাজারকে গতিশীল করতে হলে ঝুঁকি নিতে হবে বলে মনে করেন কেউ কেউ। তবে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হলে ফোর্স সেলের মুখে পড়বেন অনেকেই। যা তাদেরকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেও মনে সংশ্লিষ্টরা।

সুব্রত রায় বলেন, এই মুহূর্তে যদি ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয়, তাহলে পোর্টফোলিও এক্সপোজারের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও বড় বড় হাউজগুলো ফোর্স সেলের মধ্যে পড়ে যাবে। আপাতত ফ্লোর প্রাইস না তোলাটাই ভালো সিদ্ধান্ত হবে।

তবে সাজেদুল ইসলাম বলেন, ফ্লোর প্রাইসের এই ঝুঁকিটা নিতেই হবে। কিছু করার নেই। এটি ছিল সাময়িক একটা বিষয়। যখন দীর্ঘমেয়াদে হয়ে যাচ্ছে, তখন তো কাজ করার কথা না।

তবে সংকট কাটিয়ে পুঁজিবাজার আবারও ঘূরে দাঁড়াবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

/এমএন

Exit mobile version