Site icon Jamuna Television

রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি: বাজার সিন্ডিকেট বন্ধে তদারকির দাবি ক্যাবের

রমজান মাসে ভোজ্যতেল, চিনিসহ সাতটি পণ্যের চাহিদা বাড়ে দ্বিগুণ। এ সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠে মুনাফাখোর সিন্ডিকেটও। হাতিয়ে নেয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। এবার অসাধু মজুদদারদের দৌরাত্ম্য কমাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সক্রিয় থাকবে সরকারের অন্য সংস্থাও। ক্যাব বলছে, শুধু জরিমানা করে বাজার স্থিতিশীল রাখা যাবে না, প্রয়োজন কঠোর শাস্তির।

আগামী মার্চ মাসে শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। ওই সময় বছরের অন্য যেকোনো মাসের চেয়ে ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুর ও ছোলার মতো ৭টি ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ে দ্বিগুণ। যার জন্য প্রয়োজন আমদানি ও সরবরাহ বাড়ানো। রমযানের আগে সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও দাম বাড়ে। ক্যাব বলছে, মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে এখনই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে, বাড়াতে হবে ভর্তুকি।

এ প্রসঙ্গে ক্যাবের বাজার পর্যলোচনা বিশেষজ্ঞ কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, সরবরাহ চেইনে যেনো কোনোভাবেই কৃত্রিমভাবে বাধা তৈরি না হয়। যেমন ধরুণ-পরিবহণ খরচ যদি আকস্মিক বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন জ্বালানি তেলের দাম না বাড়ে। এমনকি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রভাবও পড়তে পারে এক্ষেত্রে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যতোই বাড়ুক না কেনো যদি এই সময়ে ভর্তুকি দিয়েও এই বাজারকে ধরে রাখা না যায় তাহলে সংকট এখান থেকেই তৈরি হবে।

ক্যাবের মতে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জরিমানার মাধ্যমে, রাজস্ব আদায়কে প্রাধান্য দিচ্ছে। কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না থাকলে, বাজার স্থিতিশীল থাকবে না।

এ প্রসঙ্গে ক্যাবের বাজার পর্যলোচনা বিশেষজ্ঞ কাজী আব্দুল মান্নান আরও বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর যদি জরিমানা আদায়ে তৎপর হয়ে ওঠে তাহলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে নিঃসন্দেহে। কিন্তু, আমি মনে করি- এ জায়গায় রাজস্ব আয় প্রাধান্য পাওয়া উচিত না। বরং যে অনিয়মগুলো তাদের চোখে পড়বে সেগুলোর বিরুদ্ধে তাদের মামলা দেয়া উচিত।

রমজানে সাতটি পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এক সাথে বেশি পণ্য না কেনার আহ্বান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদফতরের মহাপরিচালকের। বলছেন, সরবরাহ ব্যবস্থা ভালো রাখতে, তদারকি বাড়ানো হবে। ভোক্তা অধিকার পাশাপাশি কাজ করবে অন্য সংস্থাও।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, রিফাইনারিগুলো যাতে সাপ্লাই চেইন ও মূল্যটা ঠিক রাখে সেটি আমাদের সরকার বা অন্যান্য সংস্থার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হবে, এ সংক্রান্ত কার্যক্রমও চলবে। আমি বলবো যে, যারা ভোক্তা তাদেরও কিছু ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। একসাথে না কিনে এক সপ্তাহের বাজার যদি আমরা একবারে করি তাহলে মনে হয় সুবিধা হয়।

প্রসঙ্গত, আগামী রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার তিন মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

/এসএইচ

Exit mobile version