Site icon Jamuna Television

প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

ছবি: প্রতীকী

বরিশাল ব্যুরো:

প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) ৪র্থ সেমিস্টারের ছাত্রী কেয়া আক্তার রত্না (২২)।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে ইনস্টিটিউটের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রী নিবাসের ৩০৪ নম্বর কক্ষ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে বরিশাল মহানগর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় কেয়া আক্তার রত্নার প্রেমিক ইনস্টিটিউটের একই সেমিস্টারের ছাত্র অন্তর আলীকে (২২) হোস্টেল থেকে আটক করেছে পুলিশ।

অন্তর সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার শুভগাছা গ্রামের রাজু আহমেদের ছেলে। নিহত কেয়া পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা পৌরসভার গোলখালি ছোট গাবুয়া গ্রামের মো. বশির মিয়ার কন্যা। এই ঘটনায় নিহত কেয়ার বাবা বশির মিয়া বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন প্রশিক্ষক এবং হোস্টেল সুপার জুথিকা পাল বলেন, রাত ৩টার দিকে হোস্টেল থেকে ফোন পাই। ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি ৩০৪ নম্বর কক্ষের কেয়া আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আমি তাৎক্ষণিক অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক স্যার এবং এয়ারপোর্ট থানায় ফোন করে জানাই। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল ৭টার দিকে সুরতহাল শেষ করে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি, কেয়া আক্তারের সাথে একই সেমিস্টারের অন্তর আলীর গত দুই বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। ঘটনার দিন দু’জনের মধ্যে মোবাইল ফোনে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায় অন্তরকে ভিডিও কলে রেখেই ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দেন কেয়া। আর ভিডিও কলে রেখে কেয়ার গলায় ফাঁস দেয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে অন্তর।

আটক অন্তর আলীর রুমমেট আহসান বলেন, কেয়া এবং অন্তরের সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তবে গতরাতে কী হয়েছে তা আমার জানা নেই।

বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন বলেন, নিহত কেয়া আক্তারের বাবা বশির মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অন্তরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অন্তর আলীকে হোস্টেল থেকে আটক করেছে।

ইউএইচ/

Exit mobile version