Site icon Jamuna Television

ইউক্রেনকে পোল্যান্ড লেপার্ড টু ট্যাংক দিলে বাধা দেবে না বার্লিন

ইউক্রেনকে লেপার্ড টু ট্যাংক সরবরাহে পোল্যান্ডকে বাধা দেবে না জার্মানি, অবশেষে তা নিশ্চিত করলেন চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। জার্মান চ্যান্সেলর জানান, ন্যাটো মিত্রদের সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতেই নেয়া হবে অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত। বহরের সবচেয়ে শক্তিশালী ট্যাংক সরবরাহের ইঙ্গিত দিয়েছে ফ্রান্সও। খবর রয়টার্সের।

গত কিছুদিন ধরেই আলোচনার তুঙ্গে জার্মানির তৈরি লেপার্ড টু ট্যাংক। জার্মান আইন অনুযায়ী, অন্য কোনো দেশ এই ট্যাংকের মালিক হলেও তৃতীয় কোনো দেশে সরবরাহের ক্ষেত্রে নিতে হবে বার্লিন সরকারের অনুমোদন। তাইতো পোল্যান্ড তাদের বহরে থাকা ১৪টি লেপার্ড টু ট্যাংক ইউক্রেনকে দিতে চাইলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় জার্মানির সাথে চুক্তি।

একদিকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি, আরেকদিকে ইউক্রেন ও ন্যাটো মিত্রদের চাপে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল জার্মানি। যা নিয়ে সরাসরি অসন্তোষ জানায় কিয়েভ। যৌথ বিবৃতিতে জার্মানির প্রতি অনুমোদনের অনুরোধ জানায়, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও লিথুয়ানিয়া। অবশেষে বরফ গললো।

প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনের সাথে বৈঠকের পর বাধা না দেয়ার বিষয়ে জার্মান চ্যান্সেলর আশ্বস্ত করেন।
ওলাফ শোলজ বলেন, আমরা জানি এই ট্যাংক কত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই আলোচনা করছি মিত্রদের সাথে। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ মিত্র দেশগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতেই সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভবিষ্যতেও নেবো। শঙ্কা আছে, এই যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদী হবে। ইউক্রেনকে জানাতে চাই, আমরা পাশেই থাকবো।

ফ্রান্স-জার্মান বৈঠকের পর দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, যতদিন প্রয়োজন ইউক্রেনের পাশে থাকবে ইউরোপ। ফ্রান্সের প্রধান যুদ্ধ ট্যাংক লেকলার্ক সরবরাহের বিষয়েও কাজ করছেন বলে জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের লক্ষ্য এক। সার্বভৌম, ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ। যারা নিজেরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করে। ইউক্রেনের প্রয়োজনেও ইউরোপ পাশে থাকবে। ফ্রান্সের লেকলার্ক ট্যাংক নিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রীকে কাজ করতে বলেছি।

অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে ইউরোপে অনিশ্চয়তা-আলোচনার মধ্যে থেমে নেই ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনের সংঘাত। রোববার এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, জাপোরিঝিয়ার দুই শহর ওরিকিভ ও হুলিয়াইপোলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে পুতিন বাহিনী। পূর্বাঞ্চলে ১৫টির বেশি স্থানে হামলা করেছে। দক্ষিণাঞ্চলেও বেড়েছে লড়াই। অন্যদিকে, দোনেৎস্কে রুশ ঘাঁটিতে হামলার দাবি করেছে কিয়েভ।

/এমএন

Exit mobile version