Site icon Jamuna Television

মিশরে ৪ হাজার ৩০০ বছর পর উদ্ধার হলো স্বর্ণে মোড়ানো মমি

৪ হাজার ৩০০ বছর পর খোলা হলো সমাধির দরজা। আগাগোড়া স্বর্ণে মোড়ানো মমি উদ্ধার। লিপিখচিত পাথরের শবাধার। হেকাশেপস্ নামের এক ব্যক্তির মমি। এটি যাবৎকালে মিসরে পাওয়া নন-রয়্যাল মমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন এবং পূর্ণাঙ্গ।

কায়রো থেকে দক্ষিণে সাক্কারা এলাকায় মিললো চারটি সমাধি ক্ষেত্র। ৫০ ফুট গভীর থেকে উদ্ধার করা হয় শবাধার। সেখান থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় মমিটি একজন পুরোহিতের। তার নাম নুমদজেদেফ্। তিনি একাধারে পর্যবেক্ষক এবং আইনরক্ষাকারী ছিলেন।

মিসরের প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহি হাওয়াস বলেন, শবাধারের ভেতরে কী কী আছে সেটা দেখার জন্যই মাথা ঢুকিয়েছিলাম। যা দেখলাম তাতে আমি হতবাক। একটি পুরো মমি স্বর্ণের আস্তরণে মোড়া। সেই সমাধিতে ছিল আরও ১৪টি ছোটবড় ভাস্কর্য। যার সবগুলোই খুব দামি।

এই প্রত্নতত্ত্ববিদ আরও বলেন, মূলত ফারাও হুনি’র পিরামিডের সন্ধানে নেমেছিলাম আমরা। এর পরিবর্তে সাক্কারায় মিললো গুরুত্বপূর্ণ সব গুপ্তধন। চারটি সমাধিক্ষেত্রে রাখা মমিগুলো তৎকালীন ফারাও উনাস এবং বেবে’র প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। কারুকাজ সম্বলিত দরজা এবং সিঁড়ি পেরিয়ে আমরা নামতে পেরেছি সমাধিতে। আনুমানিক হিসাব অনুসারে ৪ হাজার ৩০০ বছর পর খোলা হলো সেটির দরজা।

অপর সমাধিটি মেরি নামক এক ব্যক্তির। তিনি তৎকালীন ফারাও’র গোপন রক্ষক ছিলেন। সে কারণেই তার সমাধি এবং মমিতে পালন করা হয়েছে ধর্মীয় বিশেষ রীতিনীতি। বিচারপতি এবং লেখক হিসেবে পরিচিত ফেতেক’র মমি শায়িত ছিল চতুর্থ সমাধিতে। ছিল দামি ভাস্কর্য, ফুলদানি, তৈজসপত্র।

খ্রিস্টপূর্ব ২২ থেকে ২৫ শতাব্দীর রাজার সহচর এবং তার চারপাশের লোকজনের ব্যাপারে ধারণা দেবে এসব সমাধি ক্ষেত্র।

সাক্কারা ৩ হাজার বছর ধরে গোরস্তান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জাতিসংঘ জায়গাটিকে স্থান দিয়েছে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তালিকায়। কেননা প্রাচীন মেম্ফিস এবং ডজন খানেক পিরামিড পাওয়া গেছে এলাকাটিতে। এখানেই রয়েছে ধাপবিশিষ্ট পিরামিড।

এটিএম/

Exit mobile version