Site icon Jamuna Television

ফ্যাটি লিভার! কোন ৫ উপসর্গ দেখে সচেতন হবেন?

যকৃতে চর্বির আধিক্য হলে এর গাঠনিক বিপর্যয় ঘটে, তখন একে ফ্যাটি লিভার বলে। যকৃতে তার নিজস্ব ওজনের ৫ থেকে ১০ ভাগ চর্বি জমলে এমনটি ঘটে।দিনের পর দিন রেস্তরাঁয় খাওয়া, ধূমপান, শরীরচর্চায় অনীহা- এই সব বদ অভ্যাসের হাত ধরেই শরীরে বাসা বাধে নানা জটিল রোগ। এমনই একটি অসুখ হল নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।

চিকিৎসকরা বলছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান অথবা বিশেষ কিছু ওষুধ খেলে লিভারে ফ্যাটের সঞ্চয় হয়। তাকে বলা হয় অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। কিন্তু যখন এই দুই কারণ ছাড়াই ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ দেখা দেয়, তখন সেই রোগকে বলা হয় নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।

কোন কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?

১) অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়লে সচেতন হতে হবে। শারীরিক দুর্বলতা বলে এড়িয়ে গেলে কিন্তু সমস্যা ধীরে ধীরে মারাত্মক আকার নিতে পারে। তাই এমন হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২) খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময়ে তার হাত ধরে ফ্যাটি লিভার হানা দেয় শরীরে। যদি খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা আরও বাড়তে থাকে, তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নেয়া জরুরি ফ্যাটি লিভার হয়েছে কিনা।

৩) শরীরে মেদ জমছে, আর তার সঙ্গে ঘন ঘন ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? এমন হলে কিন্তু বাড়তি নজর দেয়া প্রয়োজন। কোনো কারণ ছাড়া ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া ফ্যাটি লিভারের উপসর্গ হতে পারে।

৪) ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ ভালো করে বের হতে পারে না। তাই নজর রাখুন প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার পরেও একটানা প্রস্রাবের রং হলুদ হতে থাকলে ও দুর্গন্ধ থাকলে ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে সচেতন হন।

৫) ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের খিদেও বেড়ে যায়। এমন সময়ে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়লে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
ইউএইচ/

Exit mobile version