Site icon Jamuna Television

‘ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপুর্তি উপলক্ষে হতে পারে বড় হামলা’

ছবি: সংগৃহীত

এখনও কাটছে না ইউক্রেন আগ্রাসনের ভয়াবহতা, অথচ- দোড়গোড়ায় যুদ্ধের প্রথম বর্ষপুর্তি। যুদ্ধের প্রথম বর্ষপূর্তিতে বড় হামলার ছক কষছে রাশিয়া- বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় সরকারের মন্ত্রীরা। তাদের বক্তব্য, ফ্রন্টলাইনে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া, বাড়াচ্ছে সমরাস্ত্রের পরিমাণও। হামলার সম্ভাব্য তারিখ বলছেন- ২৩ ফেব্রুয়ারি। এদিকে, মস্কোর স্পষ্ট হুমকি- মার্কিন ট্যাংক আঞ্চলিক সীমানায় ঢুকলেই বাড়বে যুদ্ধের পরিধি; মিসাইল ছুঁড়ে জ্বালিয়ে দেয়া হবে অত্যাধুনিক সমস্ত সমরযান। খবর সিএনএনের।

জেলেনস্কি প্রশাসন আগেই আভাস দিচ্ছিলো যে, ২৪ ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে রাশিয়া বৃদ্ধি করবে আগ্রাসন। এবার, বেশ জোরালো কণ্ঠেই ইউক্রেনীয় মন্ত্রীরা বললেন- একদিন আগে রাশিয়ার জাতীয় দিবস ‘ফাদারল্যান্ড ডে’-তে চালানো হতে পারে ভয়াবহ সামরিক অভিযান। লক্ষ্য- দোনবাস অঞ্চল।

ইউক্রেনের জাতীয় সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের সেক্রেটারি ওলেক্সাই দানিলভ এ প্রসঙ্গে বলেন, আগ্রাসনের তীব্রতা বৃদ্ধির সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে রাশিয়া। তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র জড়ো করেছে ফ্রন্টলাইনে, সেনাদের দিয়েছে সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ। বেলারুশের সাথে যৌথ মহড়া তো পুরো বিশ্বই দেখছে। রাশিয়া হামলা চালাতে পারে- এমন সবগুলো পয়েন্ট রাখা হয়েছে নজরদারিতে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দাবি, বিভিন্ন ফ্রন্টলাইনে মোতায়েন করা হয়েছে অর্ধলক্ষের বেশি রুশ সৈন্য।

এ প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সাই রেজনিকভ বলেন, রণক্ষেত্রের বিভিন্ন অবস্থানে এরইমধ্যে ৫০ হাজারের মতো অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। গোয়েন্দা হিসাব বলছে- সংখ্যাটা কয়েকগুণ বেশি। কারণ, গেলো সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট পুতিন ৩ লাখ সেনা নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফাদাল্যান্ড ডে’তে সম্ভাব্য এ হামলা হতে পারে। প্রতিরোধে প্রস্তুত ইউক্রেনীয় সেনাবহরও।অবশ্য, পুতিন প্রশাসনের কড়া হুমকি- মার্কিন সমরাস্ত্র অঞ্চলে ঢুকলেই, অন্যমাত্রায় পৌঁছাবে আগ্রাসনের মাত্রা।

রুশ প্রেসিডেন্সিয়াল মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ প্রসঙ্গে বলেন- ন্যাটোর গোয়েন্দা অবকাঠামো, পর্যবেক্ষক বিমান ও স্যাটেলাইট ২৪ ঘণ্টাই ইউক্রেনের স্বার্থে কাজ করছে। রুশ অঞ্চলে মার্কিন সমরাস্ত্রের ব্যবহার স্পষ্টভাবেই উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা। কিন্তু, কোনো বাঁধায় বিশেষ সামরিক অভিযান থামবে না। কারণ, এসব ট্যাংক রুশ মিসাইলের আঘাতে জ্বলেপুড়ে যাবে। পাত্তাই পাবে না ফ্রন্টলাইনে দাঁড়ানো ইউক্রেনীয় সৈন্যরা।

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘স্টাডি অব ওয়্যার’- এর তথ্য অনুসারে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল পুরোপুরি দখলে মরিয়া রাশিয়া। বুধবারও, বাখমুতের ছোট্ট একটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনাদল। কয়েকদিনের মধ্যে এলাকাটির প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নেয়াই এখন তাদের মূল টার্গেট।

/এসএইচ

Exit mobile version