Site icon Jamuna Television

টানা ৭ জয়ে কোয়ালিফায়ার ওয়ানের লড়াইয়ে কুমিল্লা; চট্টগ্রামের টানা ৬ষ্ঠ হার

ছবি: সংগৃহীত

প্লে-অফের চার দল শুক্রবার নির্ধারিত হয়ে যাওয়ায় টেবিলে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার লড়াইয়ে এখন বিপিএলের দলগুলো। যেখানে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বরিশালের সাথে কোয়ালিফায়ার ওয়ানের লড়াইটা জমিয়ে তুললো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

চট্টগ্রামের করা ৭ উইকেটে ১৫৭ রানের জবাবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ভর করে এক ওভার বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। যা এবারের আসরে দলটির টানা ৭ম জয়। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। মাত্র ৬ রানের মধ্যে মেহেদী মারুফ (শূন্য রান) ও খাজা নাফেকে (২ রান) হারিয়ে বসে চট্টলার দলটি। আগেই আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হওয়া দলটি সেখান থেকে তৃতীয় উইকেট জুটিতে আফিফ ও উসমানের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে।

এই দুইজন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৮ রান যোগ করেন। উসমান ৪১ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে ৫২ রান করে ফিরে গেলে এই জুটি ভাঙে। এরপর অধিনায়ক শুভাগত হোমকে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়েন আফিফ। শুভাগত ফেরেন ১২ রান করে। এ সময় ৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।

শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে আফিফ ৪৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে করেন ৬২ রান। শেষদিকে নেমে রাসুলি ৯ বলে ১ চার ও ২টি ছয়ে ২১ রানে অপরাজিত থেকে চট্টগ্রামকে দেড়শ স্কোর ছাড়াতে সাহায্য করেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

কুমিল্লার পক্ষে তানভীর ও হাসান আলী ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া সৈকত আলী নেন ১ উইকেট। অন্য দুই উইকেট যায় রান আউটের ফাঁদে পড়ে।

১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩য় ওভারে সৈকত আলীর উইকেট হারায় কুমিল্লা। ১০ বলে ১৫ রান করা সৈকত আউট হন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে রাসুলির হাতে ক্যাচ দিয়ে। আশা দেখিয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ১১ বলে ১৫ রান করা ইমরুলকে বোল্ড করেন জিয়াউর। দলীয় ৫৭ রানে জনসন চার্লসকেও সাঝঘরের পথ দেখান এই পেসার।

এ সময় দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪র্থ উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সাথে ৭৬ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন রিজওয়ান। ৪৭ বলে ৬১ রান করে যখন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে উইকেটের পেছনে উসমান খানের হাতে ক্যাচ দেন, তখন দলের রান ১৩৩। ২টি ছয় আর ৫টি চারের মার ছিল রিজওয়ানের ইনিংসে।

এরপর জাকির আলীকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন মোসাদ্দেক সৈকত। ১৪ বলে ২৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে এবারের আসরের টানা ৭ম জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুই ব্যাটার। ২৭ বলে ৩৭ রান করেন মোসাদ্দেক। আর জাকিরের ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১০ রান।

১০ ম্যাচ শেষে বরিশালের সমান ১৪ পয়েন্ট হলেও রানরেটে পিছিয়ে থেকে টেবিলের তিনে রয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সমান ম্যাচে টানা ছয় ম্যাচ হারা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স রয়েছে টেবিলের একদম তলানীতে।

/এএইচ/এমএন

Exit mobile version