Site icon Jamuna Television

পুষ্টিহীনতায় সোমালিয়াকেও ছাড়িয়ে গেছে আফগানিস্তান: জাতিসংঘ

পুষ্টিহীনতার দিক দিয়ে দুর্ভিক্ষ পীড়িত সোমালিয়াকেও ছাড়িয়ে গেছে আফগানিস্তান। খাদ্য সংকট ও চলমান অস্থিতিশীলতার ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে দেশটির বাসিন্দাদের ওপর। আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা। সবচেয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতি শিশুদের। বিদেশি দাতাদের সহায়তা বন্ধ হওয়াকে এর অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জরুরি পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর ইউএন নিউজের।

জাতিসংঘ বলছে, গত বছর দেশটির প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই অনাহারে কাটিয়েছে। দারিদ্র্য, ক্ষুধা আর তৃষ্ণায় জর্জরিত আফগানিস্তানে প্রকট আকার ধারণ করেছে মানবিক সংকট। পুষ্টিহীনতার দিক দিয়ে বর্তমানে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে রয়েছে দেশটি।

কাবুলস্থ জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র ফিলিপ ক্রোপ বলেন, আফগানিস্তানের পুষ্টিহীনতার হার এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই বছর কমপক্ষে ৪০ লাখ শিশু, গর্ভবতী নারী এবং সবেমাত্র বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন এমন নারী চরম অপুষ্টিতে ভুগবেন। প্রতিদিন ৬০ লাখ মানুষ পরের বেলার খাবারের যোগান নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে দেশটিতে।

মূলত, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটিতে রাতারাতি বন্ধ হয়ে যায় বিদেশি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম। যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। অর্থনীতির দুরাবস্থায় বাড়তে থাকে খাদ্য, সুপেয় পানি, চিকিৎসার অভাবে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের ২ কোটি ৮০ লাখ শিশুর জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এদের মধ্যে ২ কোটি শিশু চলতি বছর চরম খাদ্যাভাবে ভুগবে বলে শঙ্কা তাদের। তাই মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় বিদেশি সহায়তা চালুর আহ্বান জানাচ্ছে সংস্থাটি।

এসজেড/

Exit mobile version