
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আনুচিং মোগিনীর ভবিষ্যত নিয়ে আশংকা।
ভবিষ্যতে মানুষের জমিতে কাজ করে খেতে হবে- এমন কথা বলেছেন সদ্য ফুটবলকে বিদায় জানানো আনুচিং মোগিনি। সাফ জয়ী এ ফুটবলার এখনও পাননি সাফ জয়ের অঙ্গীকারকৃত টাকা। বাফুফে এখনও বুঝে নিতে পারেনি বিসিবির দিতে চাওয়া টাকাও। এছাড়াও বাফুফের দুই সহ-সভাপতি ঘোষিত পুরস্কারও এখনও বুঝে দিতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
ছাদ খোলা বাসে চেপে জীবনের বাঁক বদলের স্বপ্নই হয়তো দেখেছিলেন তিনি। সাফ জয়ের ঐতিহাসিক ট্রফিটা রাঙাতে এসেছিলো কতো না পুরস্কারের ঘোষণা। সেই সকালটা যদি নতুন দিনের বার্তা দেয়, তবে ক মাস পরেই রাতের ঘোর অমানিশাও দেখে ফেলেছেন কেউ কেউ…..যার একজন আনুচিং মোগিনি।
সাবেক বাংলাদেশি ফুটবলার আনুচিং মোগিনি বলেন, ফুটবলের জন্য পড়াশোনাও ঠিকমতো করতে পারিনি। এখন ফুটবলও নাই, পড়াশোনাও নাই। কাজ করার মতোও কিছু নেই। এখন হয়তো মানুষের বাড়িতে বা জমিতে কাজ করে খেতে হবে। এটা ছাড়া তো আমাদের আর উপায় নাই।
এমন ভয়ংকর ভবিষ্যতের কথাই বলছিলেন সদ্য ফুটবল থেকে অবসর নেয়া আনুচিং। সম্প্রতি তিনি বাদ পড়েন নারী দলের ক্যাম্প থেকে। সে হতাশায় ফুটবলটাকেই বাই বাই জানিয়ে দিলেন চিরতরে।
সব ঠিক থাকলে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে মাঠ মাতাতেন তিনি। আর, এখন বাড়ির ছোটদের সাথে ফুটবল নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। হতাশার মেঘ এতোটাই জমেছে যে ফুটবলে এতো সময় বিনিয়োগকে স্রেফ লসের খাতায় দেখছেন আনুচিং।
আনুচিং বলেন, এখন বাসায় আমার ভাগ্নিদের সময় দিচ্ছি। ওদের সাথেই ফুটবল খেলি। আসলে ফুটবলে সময় দিয়ে ভুল করেছি।
সাফ জিতে আসা এ ফুটবলার এখনও বুঝে পাননি ঘোষিত পুরস্কারের পুরো অর্থ। এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায় বিসিবির মতো প্রতিষ্ঠানের অঙ্গীকার করা টাকাই এখন বুঝে নিতে পারেনি বাফুফে। বাকি আছে বাফুফের দুই সহ সভাপতির টাকাও। এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, আমাদের সাফজয়ী যে নারী ফুটবল দল তাদেরকে বিভিন্ন আর্থিক যে পুরষ্কার দেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দেয়া উপহার ওরা প্রত্যেকে পেয়েছে।
বাকি টাকা হাতে পেলে বাবার জন্য কিনতে চান জমি। সে জমিতে ভর করেই সাজাতে চান ভবিষ্যতটা। কিন্তু আনুচিং এর সে স্বপ্ন পূরণ হবে তো?
/এসএইচ



Leave a reply