Site icon Jamuna Television

‘নদীতে ফেলে দেওয়ার পরও জীবিত ছিলো পায়েল, হাসপাতালে নিলে বাঁচানো যেতো’

হানিফ পরিবহনের চালক-সহকারীরা এতোটা নির্মম না হলে বাঁচানো যেতো নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পায়েলকে। একথা জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার। তিন আসামি গ্রেফতার ও জবানবন্দি সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি। জানান, পায়েলকে নদীতে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সুপারভাইজার। তবে এ সময় যদি পায়েলকে স্থানীয় কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতো, তবে তাকে বাঁচানো যেতো। কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, খালে ফেলে দেওয়ার পরও পায়েল জীবিত ছিলেন। কারণ তার পেটে প্রচুর পরিমাণ পানি ছিল।’

এদিকে পায়েল হত্যার ঘটনায় শোকের মাতম চলছে পরিবারে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে কাল।

গেল শনিবার রাতে হানিফ পরিবহনের বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফিরছিলেন সাইদুর রহমান পায়েল। যানজটের কারণে মুন্সীগঞ্জে বাস থামলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গাড়ি থেকে নামেন তিনি।

গাড়ি ছেড়ে দিলে দৌঁড়ে উঠতে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে আহত ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন পায়েল। দুর্ঘটনা ধামাচাপা দিতে নির্মম হয়ে ওঠেন চালক, সহকারী ও সুপারভাইজার। পায়েলকে নদীতে ফেলে দেয় তারা। তাদের গ্রেফতারের পর প্রকাশ্যে আসে লোমহর্ষক ঘটনাটি।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে ঘটনার আদ্যোপান্ত। সুপারভাইজার এরইমধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে আদালতে।

২১ বছর বয়সী চট্টগ্রামের ছেলে পায়েল ছিলেন বাবা মা’র একমাত্র পুত্রসন্তান। লেখাপড়া করতেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেধাবী এই ছাত্রের নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

Exit mobile version