Site icon Jamuna Television

মাহমুদুল-হাবিবুলের ব্যাটে ৬ ম্যাচ পর পাওয়া জয় দিয়ে আসর শেষ করলো খুলনা

ছবি : সংগৃহীত

শেষ ম্যাচে কাটলো খুলনার পরাজয়ের বৃত্ত। ফরচুন বরিশালের করা ৮ উইকেটে ১৬৯ রান ৩ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে পার করে খুলনা টাইগার্স। অবশ্য এই হারে বরিশালের প্লে-অফে খেলায় কোন প্রভাব পড়েনি।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বেশ কিছু পরিবর্তন আনে বরিশাল। যেখানে ইনিংস ওপেন করতে আনামুল বিজয়ের সাথে ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অবশ্য খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি তিনি। ৯ বলে ৯ রান করে নাসুমের শিকার হন রিয়াদ।

দলীয় ৪২ রানে আবারও আঘাত হানেন নাসুম। এবার ১৪ রান করা চাতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে ফেরান এই স্পিনার। ৩য় উইকেটে আনামুল বিজয়ের সাথে জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। এই ম্যাচে ২৫ রান করলেই গ্রুপ পর্বেই আসরের সর্বোচ্চ রানের জায়গাটা দখল করে নেবার সুযোগ ছিল তার সামনে।

ছবি : সংগৃহীত

শুরুটাও সেভাবেই করেছিলেন সাকিব। নাসির-শান্তকে টপকে তৌহিদ হৃদয়ের অনেকটা কাছে চলেও এসেছিলেন। কিন্তু মাত্র ২২ রানে হাসান মুরাদের বলে নাসুমের হাতে ধরা পড়লে ছোঁয়া হয়নি হৃদয়ের ৩৭৮ রান। গ্রুপ পর্বে ৩৭৫ রান নিয়ে দুইয়ে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো দেশসেরা এই অলরাউন্ডারকে।
এক বল পর আনামুল বিজয়ও নাসুমের বলে হাসান মুরাদের হাতে তালুবন্দী হলে ৭৭ রানে ৪র্থ উইকেট হারিয়ে বসে ফরচুন বরিশাল।

এরপর শুরু হয় প্রিটোরিয়াস আর ইব্রাহিম জাদরানের ঝড়। ৫ম উইকেটে ৩৭ বলে ৭০ রান যোগ করে দলকে লড়াই করার মত পুঁজি এনে দেন এই দুই ব্যাটার। ১৫ বলে ২১ রান করে ইব্রাহিম জাদরান যখন আউট হন তখন দলের রান ১৪৭। অপরপ্রান্তে থাকা প্রিটোরিয়াস এবারের আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই দেখিয়েছেন নিজের পেশিশক্তি। তবে আক্ষেপ থেকে গেলো অর্ধশত না পাওয়ায়। ৪টি ছয় আর ২টি চারের মারে ২৯ বলে ৪৮ রান করে সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

ছবি : সংগৃহীত

পরের বলে মেহেদী মিরাজকেও বোল্ড করে ফেরান এই পেসার। আর ইনিংসের শেষ বলে কারিম জানাতকে ফিরিয়ে নিজের ৪র্থ উইকেট তুলে নেন সাইফউদ্দিন। অবশ্য এর আগে ৯ বলে ১৮ রানের ছোট্ট একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন কারিম জানাত। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৬৯ রানে থামে ফরচুন বরিশালের ইনিংস।

সাইফউদ্দিনের ৪ উইকেট ছাড়াও খুলনা টাইগার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আর হাসান মুরাদ।

১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাব্বিরের উইকেট হারায় খুলনা। দলীয় ১৩ রানে তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন প্রিটোরিয়াস। এরপর অধিনায়ক সাই হোপে ১৩ বলে ১৫ রান করে আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে টেবিলের তলানীতে থাকা খুলনা।

৩য় উইকেট জুটিতে অ্যান্ডি বালবির্নেকে সাথে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন মাহমুদুল হাসান জয়। বালবির্নে ৩৩ বলে ৩৭ রান করে আউট হলেও অপ্রতিরোধ্য ছিলো জয়ের ব্যাট। সাথে ইয়াসির রাব্বি ১৩ বলে ১৩ রান করে কিছুটা সঙ্গ দেবার চেষ্টা করেন। ১৩১ রানে ৪র্থ উইকেটের পতনে ভাঙ্গে তাদের ৩৫ বলে ৫৫ রানের জুটি।

৫ম উইকেট জুটিতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে খুলনার দুই ব্যাটার জয় ও হাবিবুর রহমান সোহান। মাত্র ১৬ বলে ৪১ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই দুই ব্যাটার। যেখানে ৯ বলে ৩টি ছয় আর দুটি চারের সাহায্যে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন হাবিবুর রহমান সোহান। আর ম্যাচ সেরা হওয়া মাহমুদুল হাসান জয় অপরাজিত ছিলেন ৪৩ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে।

এই জয়ের ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সমান ৬ পয়েন্ট হলেও রানরেটে এগিয়ে থেকে ৫ম স্থান নিশ্চিত করে এবারের আসর শেষ করলো খুলনা টাইগার্স। আর ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে থেকে এলিমিনেটর খেলবে ফরচুন বরিশাল।

/এ এইচ

Exit mobile version