Site icon Jamuna Television

ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড তুরস্কেও থেমে নেই ডাকাতি-লুটপাট, গ্রেফতার অর্ধশত

ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যেও তুরস্কে থেমে নেই দুর্বৃত্তদের দাপট। ভূমিকম্পে ভেঙে গেছে অনেক মার্কেট ও দোকানপাট। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লুটপাট চালচ্ছে একদল সুযোগ সন্ধানী। এসব নৈরাজ্য ঠেকাতে তুর্কি সরকারও রয়েছে কঠোর অবস্থানে। এরইমধ্যে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৮ জনকে। বাণিজ্যিক এলাকায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। খবর আনাদুলু এজেন্সির।

তুরস্ক-সিরিয়ার বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর বিশ্ববাসী সাক্ষী হচ্ছে হৃদয় ছোঁয়া অনেক মানবিক গল্পের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গোটা বিশ্বই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। একেকটি প্রাণ বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা প্রশংসা কুড়াচ্ছে। তবে এত মানবিক দৃষ্টান্তের মাঝেও তুর্কিবাসী দেখছে মুদ্রার উল্টো পিঠ। সুযোগ সন্ধানীরা মহা দুর্যোগের এই সময়টাতেও থেমে নেই। দুর্গত এলাকাগুলোতে ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। ধ্বংসপ্রাপ্ত বিভিন্ন শপিং মল, মার্কেটে মালিক-কর্মচারী না থাকার সুযোগে লুটপাট চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা।

এরইমধ্যে লুটপাটের বেশকিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দেশটির বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও উঠে আসছে এসব ঘটনা। লুটপাট ঠেকাতে তৎপর রয়েছে দেশটির সরকারও। বিশৃঙ্খলা এড়াতে ভূমিকম্পের পরই ক্ষতিগ্রস্ত ১০ প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মার্কেটগুলোতে টহল দিচ্ছে সেনা সদস্যরা। লুটপাটের অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে প্রায় অর্ধশত তুর্কি নাগরিককে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

এ নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, দুর্গত এলাকাগুলোতে আমরা জরুরি অবস্থা জারি করেছি, যাতে দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিতে না পারে। অনেক জায়গায়তে ডাকাতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাজারগুলোতে চালানো হচ্ছে লুটপাট। এরদোগান বলেন, অতীত জেনে দেখুন, এই জাতি এমন পাপের কাজ করতে পারে না। দূর্যোগের এই সময়, আপনি দোকান মালিকদের কাছে কিছু চাইলে তাদের যা আছে সবকিছু দিয়েই আপনার পাশে দাঁড়াবে। লুটপাটের প্রয়োজন নেই।

শুধুমাত্র তুরস্কেই ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ভবন। ঘর-বাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দুর্গত এলাকাগুলোতে অপরাধ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এরই মধ্যে।

এসজেড/

Exit mobile version