Site icon Jamuna Television

ঘরে ঢুকে পড়া ব্যাঙ মেরে রান্না করে নৈশভোজ! শিশুর মৃত্যু

ঘরে ব্যাঙ ঢুকে পড়েছিল। বিরক্ত হয়ে সেই ব্যাঙ মেরে রান্না করে সপরিবারে নৈশভোজ সারলেন যুবক। খাওয়ার পরেই বমি করতে শুরু করে দুই মেয়ে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে ছয় বছর বয়সী সুমিত্রা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। অন্যজন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ওড়িশায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক আদিবাসী পরিবারের ঘরে ব্যাঙ ঢুকে পড়ে। যা দেখে রেগে যান গৃহকর্তা মুনা মুন্ডা। ব্যাঙটিকে মেরে তা রান্না করে ফেলেন। রাতের খাবার হিসাবে নিজেও খান, মেয়েদেরও তা খাওয়ান। রাতেই মেয়েরা বমি করতে শুরু করে। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তারা। শুক্রবার সকালে কেওনঝড় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দুই মেয়েকে। কিন্তু তার ৬ বছরের মেয়ে সুমিত্রা চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ৪ বছরের মেয়ে মুনির। মুনা নিজে অবশ্য সুস্থ রয়েছেন। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওড়িশার সম্বলপুরের ভিএসএস ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক সঞ্জীব মিশ্র জানিয়েছেন, ব্যাঙের প্যারোটিড গ্রন্থিতে বিষ থাকে। কেউ তা খেয়ে নিলে বিষের প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া কোনো কোনো ব্যাঙের চামড়ায় নির্দিষ্ট কিছু বিষ থাকে। কেওনঝড়ের শিশুকন্যাদের ক্ষেত্রেও সেই ধরনের কোনো বিষই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইউএইচ/

Exit mobile version