Site icon Jamuna Television

মাশরাফীর ১৫ রানের আক্ষেপ

ছবি: সংগৃহীত

ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক চার বারের চ্যাম্পিয়ন এখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অধিনায়ক হিসেবে পঞ্চম ট্রফি জয়ের খুব কাছে গিয়েও জয় বঞ্চিত হন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। অন্তত ১৫ রান কম হওয়াকে পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন সিলেট অধিনায়ক।

বিপিএলের ফাইনালে হারার রেকর্ড ছিল না কুমিল্লার। এর আগেও, তিন আসরের ফাইনালে ওঠে তিনবারই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। একই তকমা ছিল মাশরাফীর গায়েও। এর আগে, যে চারবার ফাইনালে উঠেছিলেন ম্যাশ সেই চারবারই ট্রফিতে লিখেছিলেন নিজের নাম। নবম আসরের ফাইনালে তাই কোনো এক সমীকরণের ছন্দপতন ছিল সময়ের ব্যাপার।

সে সময়টা কথা বললো কুমিল্লার হয়ে। প্রথম তিন ম্যাচে হারের পর টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থেকে নিজেদের রেকর্ড অক্ষুণ্ন রেখে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর তাতেই হাতছাড়া হলো অধিনায়ক মাশরাফীর পঞ্চম শিরোপা।

মিরপুরে বিপিএল ফাইনালে সিলেটের ব্যাটিং ইনিংস থামে ১৭৫ রানে। কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের মতে, সিলেটের সুযোগ ছিল ২০০ রান করার। অনেকের মতে, ৮ রানের মাথায় চার্লসের ক্যাচ ফেলে দলকে পিছিয়ে দেন রুবেল হোসেন। শুধু তাই নয়, ২৪ বলে কুমিল্লার দরকার যখন ৫২ রান তখন এক ওভারে ২৩ রান দিয়ে রুবেলই হয়ে যান সিলেটের পরাজয়ের কারণ। তবে ক্যাপ্টেন মাশরাফীর ব্যাখ্যা ভিন্ন।

মাশরাফী বলেন, ওখানে যে-ই বোলিং করতো, এরকম ওভার হলে ম্যাচ বেরিয়ে যাবে, এটি খুবই স্বাভাবিক। দিনের সেরা বোলার ছিল রুবেলই। ওই সময় এমন একটা অবস্থা ছিল, রুবেলকে বোলিং দিতে হতো, নয়তো থিসারা পেরেরা কিংবা সাকিব (তানজিম হাসান)। আমি মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, সাকিব আগের ম্যাচে যেভাবে বোলিং করেছে, রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে আজকেও ভালো করবে (শেষের দিকে)। কারণ, উইকেটে বল একটু গ্রিপ করছিল।

মাশরাফী আরও বলেন, দলের সেরা বোলারকে (রুবেল) বোলিং করানো ছাড়া আসলে উপায় ছিল না। শুধু রুবেল নয়, যে কেউ ওই সময়ে বোলিং করে এতো রান দিয়ে দিলে, পরে আর ম্যাচে ফেরা কঠিন হয়ে যায়। যে কারও ক্ষেত্রেই হতে পারতো। আমাদের ১৫ রান কম হয়েছে।

/আরআইএম

Exit mobile version