Site icon Jamuna Television

জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠার রহস্য ভেদ করলো সিটিটিসি

মনিরুল ইসলাম:

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। হরকাতুল জিহাদ থেকে বেরিয়ে জঙ্গিনেতা শামিন মাহফুজ, মোহিবুল্লাহ ও ডা. শাকের প্রতিষ্ঠা করে শারক্বীয়া। ডা. শাকের আগেই গ্রেফতার হয়েছে। সবশেষ, সংগঠনের নায়েবে আমীর মোহিবুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিসিটিসি)।

পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনে, তাদের ক্যাম্প ভাড়া করে প্রশিক্ষণের ঘটনা দেশে এর আগে দেখা যায়নি। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট বলছে, সেই কাজটিই করেছে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া।

জানা যায়, গত বছরের জানুয়ারিতে জঙ্গিনেতা শামিন মাহফুজের মাথায় আসে নতুন সংগঠনের ধারণা। এরপর ভোলার শায়খ নামে পরিচিত মোহিবুল্লাহ ও জঙ্গিনেতা ডা. শাকের ওরফে শিশিরকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তারা যান বান্দরবানের কুকি চীন নেতা নাথান বমের কাছে। টাকার বিনিময়ে নিজেদের ক্যাম্পে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চীন। এরপর শুরু হয় সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ। গঠন করা হয় ৬ সদস্যের শুরা কমিটি। ধীরে ধীরে অর্ধশতাধিক সদস্য ঘর ছেড়ে হিজরত করে পাহাড়ে প্রশিক্ষণে যায়। র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর অভিযানে ধরা পড়ে অনেকে; পালিয়ে যায় কেউ কেউ।

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, এই সংগঠনের মূল ব্যক্তি হচ্ছে শামিন মাহফুজ। তার দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে এই জঙ্গি সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। সংগঠন পরিচালনার জন্য তিনি একটি কমিটি গঠন করেন। এই কমিটির প্রথম আমীর ছিলেন রক্সি। সে গ্রেফতার হলে আরেকজনকে আমীর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শারক্বীয়ার নায়েবে আমীর মোহিবুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়।কর্মকর্তারা জানান, মোহিবুল্লাহর কাজ ছিল প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের উদ্বুদ্ধ করা।

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, যে সকল তরুণেরা হিজরত করে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অবস্থান করেছিল তাদেরকে মোহিবুল্লাহ বয়ান দিতো। জিহাদী কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বক্তব্য দিতো সে। মোহিবুল্লাহ প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে, তরুণদের জঙ্গি হিসেবে তৈরির জন্য, তাদের সন্ত্রাসবাদী চরমপন্থায় উদ্বুদ্ধ করার জন্যও সে কাজ করেছে।

শারক্বীয়ার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ও পুলিশ। তবে, ধরা পড়েনি মূল হোতা শামিন মাহফুজ ও ২ শুরা সদস্য রাকিব ও তমাল।

/এম ই

Exit mobile version