Site icon Jamuna Television

ভাই-বোনকে জোর করে বিয়ে দিলেন মা! কাজিসহ আটক ৩

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

আলমডাঙ্গায় ভাইয়ের সাথে জোর করে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া বোনকে বিয়ে দেয়ার অভিযোগে মা ও ছেলে আটক করেছে পুলিশ। ধর্মীয় ও আইনগত নির্দেশনা উপেক্ষা করে এ বিয়ে রেজিস্ট্রি করার দায়ে নিকাহ রেজিস্টারকেও আটক করে পুলিশ। বুধবার ওই ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানায়, আলমডাঙ্গার মাদরাসাপাড়ার আজিজুল হকের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সুমি খাতুন। গত প্রায় দু’মাস আগে গোপনে তাকে ভাই সোহেল রানার সাথে বিয়ে দেয়া হয়। তাদের মা লিলি খাতুন এক প্রকার জোর করে এই বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ে পড়িয়েছেন কাজি ওমর ফারুক। সুমি ও সোহেল একই মায়ের সন্তান ও একই পরিবারে বড় হয়েছেন।

কিন্তু বিষয়টি মানতে না পেরে মাস দুয়েক পর গতকাল বুধবার সুমি খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট উপস্থিত হয়ে অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলিশকে অভিযোগটি গ্রহণ করতে বলেন। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত মা লিলি খাতুন, ছেলে সোহেল ও কাজি ওমর ফারুককে আটক করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লিলি খাতুনের প্রথম বিয়ে হয় কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া গ্রামের ফজলুল হকের সাথে। সেখানে সোহেলের জন্ম হয়। ফজলুল হকের আকস্মিক মৃত্যু হলে লিলি খাতুন আলমডাঙ্গার আজিজুল হককে বিয়ে করেন। এ সংসারে সুমির জন্ম হয়। ছোট শিশুপুত্র সোহেলকে সাথে নিয়েই লিলি খাতুন আজিজুল হকের সংসারে আসেন। সুমি ও সোহেলের নামও ভাইবোন হিসেবে মিল করে রাখা হয়। তারা একই সাথে ভাইবোন সম্পর্ক বজায় রেখেই বড় হয়েছে। সোহেলের বয়স ২৪ বছর। সুমি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এরই মাঝে মা লিলি খাতুন মেয়ে সুমির সাথে সোহেলকে বিয়ে করতে রাজি করায়। সোহেল রাজি হলে গত প্রায় দু মাস আগে লিলি খাতুন তাদেরকে গোপনে বিয়ে দিয়ে দেন। ধর্মীয় অনুশাসন উপেক্ষা করেই বিয়েতে অনিচ্ছুক সুমিকে জোর করেই বিয়ে দেন।

অভিযুক্ত লিলি খাতুন জানান, সোহেলের কিছু নেই। সে কীভাবে চলবে, এই ভেবে বিয়ে দিয়েছি।

অভিযুক্ত কাজি ওমর ফারুকের দাবি করেন, লিলি খাতুনের ভাই আমাকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল। আমি জানতাম না তারা ভাই-বোন।

এদিকে, ধর্মীয় বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে এ বিয়ে দেয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ইউএইচ/

Exit mobile version