Site icon Jamuna Television

রাশিয়ার হাতেই আছে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কতটি?

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে হওয়া পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এবার নিজের পারমাণবিক অস্ত্রের ইউনিটকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পারমাণবিক অস্ত্রের স্কোয়াডকে আরও শক্তিশালী করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় রাশিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন প্রশ্ন হলো, এত বড় একটি ঝুঁকি নেয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত রাশিয়া। খবর বিবিসির।

যুদ্ধে জেতার জন্য যেকোনো পর্যায়েই যেতে পারে রাশিয়া, এমন ধারণা করা হচ্ছিল শুরু থেকেই। এরই মধ্যে পারমাণবিক স্কোয়াডের শক্তিবৃদ্ধির এ ঘোষণা আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। হামলা চালানোর জন্য কী পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র আছে রুশিয়ার হাতে, সেটি নিয়েও হচ্ছে বিস্তর আলোচনা?

মার্কিন বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে গঠিত ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র আছে রাশিয়ার কাছেই। এই মুহূর্তে রাশিয়ার হাতে ৫ হাজার ৯৭৭টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। তবে এর মধ্যে ১৫০০ এর মতো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ায় এগুলোকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বাকি ৪ হাজার ৫০০ এর মতো পারমাণবিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল ও রকেটের মতো দূরপাল্লার অস্ত্র, যা সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এগুলোর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাও ভয়াবহ। বিশেষ করে আন্তঃমহাদেশীয় হামলার ক্ষেত্রে এ পারমাণবিক অস্ত্রগুলো ব্যবহৃত হয়।

এছাড়াও রাশিয়ার হাতে রয়েছে স্বল্পমাত্রার পারমাণবিক অস্ত্র, যেগুলো পানিপথে যুদ্ধের জন্য অধিক উপযোগী। এই ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র তুলনামূলক কম ধ্বংসাত্মক।

পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভারে এককভাবে কোনো দেশ বর্তমানে রাশিয়ার ধারেকাছেও নেই। রাশিয়ার হাতে যেখানে রয়েছে ৫ হাজার ৯৭৭টি পারমাণবিক অস্ত্র, সেখানে পশ্চিমা জোট ন্যাটোর কাছে আছে ৫ হাজার ৯৪৩টি। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেরই আছে ৫ হাজার ৪২৮টি পারমাণবিক অস্ত্র, ফ্রান্সের ২৯০টি এবং যুক্তরাজ্যের ২২৫টি।

এছাড়া চীনের ৩৫০টি, পাকিস্তানের ১৬৫টি, ভারতের ১৬০টি, ইসরায়েলের ৯০টি এবং উত্তর কোরিয়ার ২০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। তাই রাশিয়ার এ হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক চুক্তি নিউ স্টার্ট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চুক্তি বাতিলের ফলে পরমাণবিক হামলার ঝুঁকি আরও বেড়েছে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

এসজেড/

Exit mobile version