Site icon Jamuna Television

তিন মাস পর বাড়ি ফিরলো রাতুল, অমীমাংসিত কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার রহস্য

পরিবারের সাথে রাতুল।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, কুমিল্লা:

অবশেষে মালয়শিয়া থেকে কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে ফিরলো বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রাতুল। কিন্তু, কীভাবে রাতুল কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়া গেলো, সেই রহস্যের জট খুলেনি এখনও। সন্তানকে কাছে পেয়ে দুই দেশের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে রাতুলের বাবা-মা।

৩ মাস ৯ দিন পর কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে ফিরলো কিশোর রাতুল ইসলাম ফাহিম। তবে কীভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনারে ঢুকলো আর কীভাবেই বা মালয়েশিয়া গেলো তা এখনও রহস্যেঘেরা।

মঙ্গলবার রাত ৯টায় মালয়শিয়া থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় রাতুল। সঙ্গে ছিলেন কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মোকছেদ আলী। রাত ১২টার দিকে হস্তান্তর করা হয় তার পরিবারের কাছে।

গত ২০ জানুয়ারি গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ দেখে রাতুলের সন্ধান পায় তার পরিবার। এরপর, দুই দেশের সরকারের হস্তক্ষেপে বাড়ি ফেরা রাতুলের। এজন্য দুই দেশের প্রতিই কৃতজ্ঞতা রাতুলের মা-বাবা ও স্বজনদের। রাতুলের স্বজনরা বললেন, আমাদের ছেলেকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ায় দুইদেশের সরকারের প্রতিই আমরা কৃতজ্ঞ।

মনোহরগঞ্জ উপজেলার সাতপুকুরিয়া গ্রামের রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া পেশায় দিনমজুর। ১৪ বছর বয়সী রাতুলই তার তিন ছেলের মধ্যে সবার বড়। গত ১৩ নভেম্বর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় রাতুল। এরপর ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একটি জাহাজের খালি কন্টেইনারে করে মালয়শিয়া চলে যায় সে। কন্টেইনারের ভেতর শব্দ শুনতে পেয়ে ১৭ জানুয়ারি ক্লাং বন্দরের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে।

/এসএইচ

Exit mobile version