Site icon Jamuna Television

রফিক হত্যাকাণ্ডের ১৬ দিন পেরোলেও গ্রেফতার হয়নি গাভী ইলিয়াস ও তার সঙ্গীরা

সন্তানসহ নিহত রফিকও।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় আলোচিত রফিক হত্যাকাণ্ডের ১৬ দিন পার হলেও গ্রেফতার হয়নি কিলিং মিশনে অংশ নেয়া তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গাভী ইলিয়াছ ও তার সহযোগীরা। রয়েছে, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি দেয়ার অভিযোগও। আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। মূলত, জাহাজে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের অবৈধ নিয়ন্ত্রণ নিয়েই এ হত্যাকাণ্ড, বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গার বিজয়নগর থেকে বাচ্চাদের জন্য হাতঘড়ি কিনে ফুফাতো ভাই মাহবুব আলমের মোটরসাইকেলে চেপে বাসায় ফিরছিলেন রফিক হোসেন। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে রফিকের বাসায় ফেরার পথে অস্ত্র ও ছুরি নিয়ে ছোটাছুটি করছে ২০-২৫জন যুবক। সময় তখন সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিট। এর ঠিক কিছুক্ষণ পরেই রফিককে বহনকারী মোটর সাইকেলের পথরোধ করে রফিক ও মাহাবুবকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে অস্ত্রধারী যুবকরা।

এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রফিক। তবে আঘাতের পর ছেড়ে দেয়া হয় রফিকের ফুফাতো ভাই মাহাবুবকে। রক্তাক্ত অবস্থায় গাছের আড়াল থেকে রফিককে হত্যার পুরো ঘটনাটাই দেখেছেন মাহাবুব। জানিয়েছেন, কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের নামও।

এদিকে, নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও জড়িতদের গ্রেফতার করা যায়নি এখনও। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো আসামিরা দিচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভও করেছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, জাহাজে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের অবৈধ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রফিক ও গাভী ইলিয়াছের বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বলেন, গাভী ইলিয়াস এর আগে ৭ বছর জেলে খেটেছে। পরে আবারও দুই বছর জেল খেটেছে। এখন সে জামিনে আছে। সে এখনও তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। রফিক হত্যাকাণ্ড তার লোকজনই ঘটিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গাভী ইলিয়াছ একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। এর আগেও বিভিন্ন অপরাধে একাধিকবার গ্রেফতার হলেও জামিনে বের হয়ে আবারও অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ে ইলিয়াছ।

/এসএইচ

Exit mobile version