
সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:
নাটোরের সিংড়ায় আব্দুস সালাম সরকার (৩৯) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বালুয়া বাসুয়া এলাকায় পলিপস অ্যান্ড পাইলস সেন্টারে অভিযান চালিয়ে এই দণ্ডাদেশ দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সালাম সরকার গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ২০১০ অনুযায়ী কোনো কাগজপত্র না থাকা এবং কোনো ডিগ্রি ছাড়াই সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে পাইলস অপারেশন করে আসছিলেন আব্দুস সালাম সরকার। তার অপচিকিৎসার স্বীকার কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পলিপস অ্যান্ড পাইলস সেন্টারটিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আব্দুস সালাম অপচিকিৎসার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে ভুয়া চিকিৎসক সালামকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সেই সাথে তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত অপারেশনের যাবতীয় মালামাল জব্দ করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, আব্দুস সালাম সরকার প্রায় দেড় যুগ আগে সিংড়া পৌর শহরের প্রেট্রোবাংলা এলাকায় একটি কুড়ে ঘরে গোপনে পলিপস অ্যান্ড পাইলস চিকিৎসা শুরু করেন। পরে ২০১৩ সালে চলনবিলের তাড়াশ-বরুহাস রাস্তার বালুয়া বাসুয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে রাতারাতি অভিজ্ঞ ডাক্তার বনে যান এবং ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে মাত্র দশ বছরে পাশেই ৩০ লক্ষাধিক টাকার জায়গা কিনে রাতারাতি ৩ তলা বাড়ি ও মোটরসাইকেলসহ প্রচুর অর্থের মালিক হয়ে উঠেন।
তিনি বলেন, মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। অনেকেই অপচিকিৎসায় স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে ছিটকে পড়েছেন। এর আগেও ২০১৯ সালে আব্দুস সালাম সরকারকে ভুয়া চিকিৎসার জন্য এক বছরের কারাদণ্ড দেন জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা খাঁন। পরে জামিনে বেড়িয়ে গিয়ে সে আবারও পাইলস অপারেশন শুরু করেন।
ইউএইচ/
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply