Site icon Jamuna Television

সিরিয়ার ভূমিকম্প দুর্গত এলাকাগুলোয় বেড়েছে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক-সিরিয়ার দুর্গত এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে ছড়াচ্ছে কলেরাসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ। দুর্গত অঞ্চলগুলোয় ধসে পড়েছে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। শরণার্থী শিবিরগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকটও তীব্র। পরিস্থিতি মোকাবেলায়, তুরস্কের পাশে থাকার আশ্বাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। তবে এখনও সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে ঢোকেনি পর্যাপ্ত সহায়তা। খবর রয়টার্সের।

সহসাই শেষ হচ্ছে না ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক-সিরিয়াবাসীর দুর্দশা। প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পের পর এবার ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ। দুর্যোগের পর থেকেই বেড়ে চলেছে কলেরা রোগীর সংখ্যা। ছড়াচ্ছে আরও নানা সংক্রামক রোগও।

দুর্গত এলাকাগুলোতে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অবস্থা বেহাল। বিশুদ্ধ পানির অভাবও প্রকট, আর তাতেই চোখ রাঙাছে রোগজীবাণু। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তুরস্ক সফরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস। সংকট মোকাবেলায় তুর্কি সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম বলেন, ক্যাম্পগুলিতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সংক্রামক রোগগুলো ছড়িয়ে পড়ছে। এ ভূমিকম্পের ব্যাপকতা অনেক। কাজেই এর প্রভাবও হবে ব্যাপক। আমরা দেখেছি, সরকার মাঠ পর্যায়ে তাদের সাধ্যমতো সব কাজ করছে। তবে তাদেরও সাহায্য দরকার। সম্ভাব্য সবভাবেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তুরস্কের পাশে দাঁড়াবে।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে গত বছরও কলেরার প্রকোপ ছিল। শরণার্থী শিবিরগুলোতে এবার নতুন করে ব্যাপকহারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দুর্যোগের পর এরইমধ্যে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে কলেরায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের, আক্রান্ত আরও ৫৬৮ জন। পাশপাশি, সরঞ্জাম স্বল্পতায় ভূমিকম্পে আহতরাও পাচ্ছেন না যথাযথ চিকিৎসা।

দুর্গত অঞ্চলে দায়িত্বপালনরত সিরিয়ান চিকিৎসক ডা. রিজাল্লাহ মালো বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তাদের খুব বেশি কিছু করারও নেই। ভারি যন্ত্রপাতির ঘাটতি অবশ্যই রয়েছে। এমনকি পুরানো যন্ত্রপাতিগুলোর বেশিরভাগই ঠিকমতো কাজ করে না। নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যাপ্ত সাহায্যও মিলছে না।

প্রসঙ্গত, সংকট মোকাবেলায় তুরস্কের পাশে অনেকে দাঁড়ালেও, এখনও পর্যাপ্ত সাহায্য পাচ্ছে না সিরিয়ার ভুক্তভোগীরা। এমন পরিস্থিতিতে দেশটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

/এসএইচ

Exit mobile version