Site icon Jamuna Television

শরীরে ক্যান্সার নিয়েও কীভাবে এতটা স্বাভাবিক ছিলেন বাইডেন?

দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ত্বক থেকে সফলভাবে ক্যান্সার আক্রান্ত টিস্যু অপসারণ করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে হওয়া অস্ত্রপচারের পর এখন পুরোপুরি ক্যানসার মুক্ত তিনি। তবে শরীরে এত বড় একটি রোগ নিয়েও কীভাবে ছুটে বেড়িয়েছেন বাইডেন? ফেব্রুয়ারিতেই একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন তিনি, সামলাচ্ছেন জটিল সব কূটনৈতিক পরিস্থিতিও। কিন্তু ক্যানসারের মতো এত জটিল রোগের কোনো চিহ্নও দেখা যায়নি তার মধ্যে। প্রশ্ন হলো, ৮০ বছর বয়সেও ক্যানসার নিয়ে কীভাবে এত চনমনে ছিলেন বাইডেন। উত্তর লুকিয়ে আছে তার ক্যানসারের ধরনেই। খবর বিবিসির।

মূলত, বাইডেন যে ধরনের ক্যানসারে ভুগছিলেন চিকিৎসাবিজ্ঞানে তার নাম ‘বেসাল সেল কার্সিনোমা’। এই ধরনের ক্যানসারের কোষগুলো সাধারণত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে না। বর্তমানে বেসাল এবং স্কোয়ামাস এই দুই ধরনের স্কিন ক্যানসারের রোগীই বেশি পাওয়া যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।

স্কিন ক্যানসার ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ৩৬ লাখ মানুষের মধ্যে এই দুই ধরনের ক্যানসার পাওয়া যায়। এই ধরনের ক্যানসার একদিকে যেমন সহজে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে না, অন্যদিকে প্রাথমিক অবস্থাতে শনাক্ত করা গেলে এটিকে পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব। এর লক্ষণগুলোও তেমন প্রকটভাবে প্রকাশ পায় না। আর এ কারণেই শরীরে ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি থাকার পরও বাইডেনের শরীরে এর বাহ্যিক কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি।

তবে শুধু বাইডেনই নন। মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনও বেসাল সেল কার্সিনোমাতে আক্রান্ত। গত জানুয়ারিতে তার তিনটি কোষ অপসারণ করা হয়। পরে অবশ্য তার মধ্য থেকে দুটি কোষ আবারও পজিটিভ ধরা পড়ে। তবে ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রপচারের পর বাইডেন এখন সম্পূর্ণ ক্যানসার মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার আর এ সংক্রান্ত চিকিৎসার প্রয়োজনও হবে না বলে জানিয়েছেন তারা। অবশ্য প্রেসিডেন্টকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এসজেড/

Exit mobile version