Site icon Jamuna Television

আর্জেন্টিনা সতীর্থদের উস্কানিতেই ফাইনালে বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন মার্টিনেজ!

ছবি: সংগৃহীত

গোলবারের প্রহরী হিসেবে ফুটবলের ‘এলিট’ ক্লাবে যাকে বছরখানেক আগেও বিবেচনা করা হতো না, সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ জিতে নিয়েছেন ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষক ২০২২’র পুরস্কার। কাতার বিশ্বকাপেও সেরা গোলরক্ষক হিসাবে পেয়েছিলেন গোল্ডেন গ্লাভস। তবে, ট্রফি নিয়ে মঞ্চে বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করে সমালোচনায়ও পড়েন তিনি। মার্টিনেজের দাবি, সতীর্থদের প্ররোচনাতেই গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার নেয়ার পর অশালীন ভঙ্গি করেছিলেন তিনি। খবর ইএসপিএনের।

পানামা এবং কুরাকাওয়ের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচের আগে আলবিসেলেস্তেদের মাঝে বোমা ফাটিয়েছেন মার্টিনেজ। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গির জন্য সমালোচিত মার্টিনেজ সেই ঘটনার দায় চাপিয়েছেন সতীর্থদের উপর। তার দাবি, সতীর্থদের কথাতেই সেই আচরণ করে ফেলেছিলেন।

টিওয়াইসি স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্টিনেজ বলেন, আমার হাতে গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার তুলে দেয়ার পরই ছেলেরা (সতীর্থ) সবাই চিৎকার করে বলেছিল, কোপা আমেরিকার মতো করে কেন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছ না? আমি বলেছিলাম, আবারও ওরকম করবো? তাতে সতীর্থরা বলেছিল, কী হবে তুমি ওরকমটা করলে? ওদের কথা শুনেই ওই আচরণ করেছিলাম। দোষ সম্পূর্ণ ওদের।

২০২১ সালে কোপা আমেরিকায় সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার নেয়ার পরেও এমন ভঙ্গি করেছিলেন মার্টিনেজ। সে সময় তেমন বিতর্ক তৈরি হয়নি। কারণ, সে সময় মুখ বিকৃত করেননি তিনি; যা করেছিলেন কাতারে গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার নেয়ার পর।

মার্টিনেজ আরও বলেন, কোপা আমেরিকা জেতার পর এমনই ভঙ্গি করেছিলাম। কেন করেছিলেন? মার্টিনেজের দাবি, ব্রাজিলের স্টেডিয়ামের পরিবেশ ভালো ছিল না। তাদের নানাভাবে কটূক্তি করা হয়েছিল। বিরক্ত হয়েই তেমন করেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপ ফাইনালেও মেজাজ হারানোর মতো কিছু ঘটেনি। খেলা শেষ হওয়ার পর নিজেই গিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে সান্ত্বনা দিতে। তা হলে কেন সতীর্থদের কথায় তেতে গেলেন? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন মেসির প্রিয় ‘দিবু’। যদিও আগে বলেছিলেন, ফ্রান্সের ফুটবলারদের খারাপ ব্যবহার এবং গালিগালাজের জন্য তার মেজাজ ঠিক ছিল না। প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের জবাব দেয়ার জন্য ট্রফি নেয়ার পর সেই আচরণ করেছিলেন।

বিশ্বকাপের পর মার্টিনেজ চলে এসেছেন ইংল্যান্ডে। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে খেলছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে।

/আরআইএম

Exit mobile version