Site icon Jamuna Television

সাকিব দারুণ খেলেছে, ও ৪ অথবা ৫ নম্বরেই ব্যাট করবে: তামিম

ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মত বিনিময়রত তামিম ইকবাল।

চট্টগ্রামে সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড বধের পর সাকিবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও সাকিবের দারুণ বোলিং মন জয় করেছেন অধিনায়ক তামিমের। তবে, এখন থেকে তিনে নয় সাকিব ব্যাটিং করবেন ৪ অথবা ৫ নম্বরে, এমনটিই জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন তামিম।

সাকিব আল হাসানময় এক ম্যাচে বাংলাদেশ ইংল্যােন্ডকে হারিয়ে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা এড়িয়েছে। এ জয় দলের আত্মবিশ্বাসও ফিরিয়ে দিয়েছে নিশ্চিতভাবেই। ব্যাট হাতে সাকিবের ফিফটির পর বল হাতে চার উইকেট শিকার। দেশের প্রথম বোলার হিসেবে ৩০০ ওয়ানডে উইকেটের ক্লাবে ঢুকে যাওয়া। সবকিছু মিলে সাবেক বন্ধুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তামিম।

ম্যাচ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাকিব সম্পর্কে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, আমার মনে হয় যে আজ তার পারফরম্যান্স অসাধারণ দেখেছি। পুরো ক্যারিয়ারেই ও অসাধারণ করেছে। আমি সবসময় বলি যে, যেকোনো দল সাকিবের মতো ক্রিকেটার পেলে ধন্য হবে। সাকিবের ব্যাটিং অর্ডার ৪ বা ৫ নম্বরে হবে, এটি চূড়ান্ত।

গত বিশ্বকাপে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন সাকিব আর হাসান। এরপর কয়েক বছর সেই তিন নম্বরেই থিতু হয়ে ছিলেন সাকিব। কিন্তু, নাজমুল শান্তকে জায়গা করে দিতে সাকিব এখন খেলছেন বেশ অনেকটাই নিচে, ৫ নম্বরে। এখন থেকে সেই পজিশনেই খেলবেন সাকিব, এমনটা নিশ্চিত করেছেন টাইগার দলপতি।

তামিম ইকবাল আরও বলেন, টেলএন্ডারদের সাথে জুটি গড়ে শেষের দিকে যে ২০-২৫ ও এনে দিয়েছে ওটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আর সত্যি বলতে সেকেন্ড ইনিংসের শেষের দিকে পিচে খুব বেশি স্পিন পাওয়া যাচ্ছিলো না। তখন ও যেভাবে বল করেছে তা অসাধারণ। এই ব্যাপারটা তাইজুলকেও উৎসাহ দিয়েছে।

এদিকে, দল জিতলেও এদিন ব্যাাট হাতে টাইগারদের পারফরম্যাান্স প্রত্যাশিত ছিলোনা। অধিনায়কও বলছেন অন্তত ২৮০ রান করতে হতো। মুশফিক-সাকিবের ব্যাটে কিছু রান এলেও পুরো সিরিজ জুড়েই ব্যর্থ ছিলে বাকিরা। কিন্তু, এই অফ ফর্ম নিয়ে খুব বেশি দুঃশ্চিন্তা করতে চান না তামিম।

তামিম বলেন, আমি মনে করি, এটি খুব ভালো টার্গেট ছিল না। আমরা ২৭০-২৮০ রান করার অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু, মাঝে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে পিছিয়ে পড়ি। তবে বোর্ডে যতো রানই থাকুক লড়াই করতে হবে। আমরা সেটিই করে গেছি। সৌভাগ্যবশত আমরা টানা কয়েকটি উইকেট পেয়েছি। সেটিই আমাদের এগিয়ে দিয়েছে। সন্ধ্যার দিকে বল কিছুটা স্পিন করেছে। সেটিও আমাদের সাহায্য করেছে। থ্যাংক গড যে ওদের বড় কোনো জুটি হয়নি। কারণ, শেষের দিকে মাঠে শিশিরের প্রভাব ছিল। ফলে বল স্পিন করা থেমে যায়। যা ব্যাটিং সহজ করে দিয়েছিল। তবে ততক্ষণে আমরা ৭-৮ উইকেট তুলে নেই। আমরা এক্ষেত্রে ভাগ্যবান ছিলাম।

দুই পেসার আর তিন স্পিনার নিয়ে খেললে একাদশে জায়গা নেই এবাদত হোসেনের। কিন্তু তাসকিনের ফিটনেস সমস্যার কারণে শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে সবার মন জয় করেছেন টেস্টের পর রঙ্গিন পোশাকে আলো ছড়ানো এবাদত। এবাদত সম্পর্কে তামিম বলেন, ইবাদত আমাদের পরিকল্পনায় আছে দেখেই ১৫ জনের মধ্যে আছে। ও শেষ সিরিজেও ভালো বোলিং করেছে। দূর্ভাগ্যবশত প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ পায়নি। তবে এই ম্যাচে যতটুকু বল করেছে অসাধারণ ছিল। ও কন্ডিশনটা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। এই উইকেটে কোন ডেলিভারি ভালো, কোনটা ভালো নয় তা ধরতে পেরেছে এবং ওভাবেই সে বল করেছে। ওর পারফরম্যান্স নিয়ে আমি খুবই খুশি।

/এসএইচ

Exit mobile version