Site icon Jamuna Television

সার্বিকভাবে ইউক্রেনকে কোণঠাসা করতেই হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

ভয়েস অব আমেরিকা থেকে সংগৃহীত ছবি।

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে এবার নতুন করে অভিযান শুরু করেছে ইউক্রেন। দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে শনিবার (১১ মার্চ) ভোর পর্যন্ত চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর পাল্টা গোলাবর্ষণ। এদিকে, কিয়েভ-বাখমুতসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় মিলেছে রুশ তাণ্ডবের প্রমাণ। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অভিযোগ, সার্বিকভাবে ইউক্রেনকে কোণঠাসা করতেই হামলার ব্যাপকতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। দ্য নিউইয়র্ক পোস্টের।

শুক্রবার (১০ মার্চ) কিয়েভ-জাপোরিঝিয়া-বাখমুতসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে প্রতিরোধ যুদ্ধ জোরদার করে ইউক্রেনীয় সেনারা। গোলাবর্ষণের পাশাপাশি শনিবার ভোর পর্যন্ত চলে তাদের রকেট হামলা। তবে এতে পরিস্থিতির উন্নতি খুব একটা দেখা যায়নি।

ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধরত একজন ইউক্রেনীয় কমান্ডার জানান, এ মুহূর্তে রুশ বাহিনীকে পিছু হঠানো খুবই কঠিন। কিন্তু আমরা হাল ছাড়বো না। যেসব অস্ত্র এখন আমাদের হাতে আছে সেগুলো নিয়েই আমরা লড়ে যাবো।

সম্প্রতি স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, বাখমুত, কিয়েভসহ বিভিন্ন স্থানে চালানো রুশ হামলার বর্বরতার চিত্র। কিনঝালসহ উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থানের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অসংখ্য বেসামরিক স্থাপনা। যারমধ্যে রয়েছে হাসপাতাল, স্কুলের মতো স্থাপনাও। ইউক্রেনকে চতুর্মুখী চাপে ফেলার পরিকল্পনা করছে মস্কো এমন অভিযোগ ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, আমাদের জ্বালানী ও বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রই ছিলো রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মুল লক্ষ্য। হামলার পর রাজধানী কিয়েভসহ বহু এলাকা এখন অন্ধকারে। আমাদের খাবার নেই পানি নেই। রাশিয়া আসলে চাইছে আমরা যাতে সার্বিকভাবে চাপের মুখে পড়ি। তাই হামলার পরিধি বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনে কিয়েভ-বাখমুতসহ বিভিন্ন এলাকায় রুশ তাণ্ডবে নিহত সামরিক-বেসামরিকদের স্মরণে আয়োজিত হয় বিশেষ শোকসভা, চলে প্রার্থনাও। এ সময় নিহতের পরিবারের সদস্যদের স্বান্তনা জানান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

/এসএইচ

Exit mobile version