Site icon Jamuna Television

ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় গরু ব্যবসায়ীকে খুন, গ্রেফতার ৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী এলাকায় গরু ব্যবসায়ী দিদারুল আলম বেচুকে (২০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাছের ডাল ও একটি ছোরা। ছিনতাইয়ের সময় বাধা দেয়ায় গ্রেফতারকৃতরাসহ কয়েকজন বেচুকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছে। তবে এ ঘটনার মূল নেতৃত্বদানকারী এখনো পলাতক রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, চরলক্ষ্মী গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন (২০), একই গ্রামের মাহফুজের ছেলে রাশেদ (৩০), আমিনুল হকের ছেলে মাইন উদ্দিন মিষ্টু (৩২), আবুল হোসেনের ছেলে মহিন উদ্দিন চাঁন মিয়া (২১) ও আবুল কালামের ছেলে লোকমান হোসেন (৩৭)।

পুলিশ জানায়, গত ৬ মার্চ সোমবার সকালে স্থানীয় ছমিরহাট বাজারে গরু বিক্রি করতে যায় দিদারুল আলম বেচু। বাজারে গরু বিক্রি করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। তার অটোরিকশাটি চরলক্ষ্মী গ্রামের গোলাম মাওলার কিল্লা এলাকায় পৌঁছলে ৭/৮ জন তার বাড়ি গতিরোধ করে সাথে থাকা টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এ সময় তাদের বাধা ও টাকা দিতে অপারগতা দেখালে প্রথমে গাছের ডাল দিয়ে বেচুর মাথা, কপাল ও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে এবং পরে ধারালো ছোরা দিয়ে তার শরীরে জখম করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বেচুকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ মার্চ শুক্রবার ভোরে মারা যান তিনি।

পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার নিহতের বড় বোন বিবি আয়েশা বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে চরজব্বর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার পর মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে সোমবার রাতসহ বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাছের ডাল ও ছোরা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে দুইজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাই এবং হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটনার মূল নেতৃত্বদানকারীসহ অপরদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইউএইচ/

Exit mobile version