
ছবি: সংগৃহীত
বাখমুতে জয়-পরাজয়ের ওপর নির্ভর করবে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ- শ্বাসরূদ্ধকর লড়াইয়ের মাঝেই এমন মন্তব্য করলেন অইক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তার সেনাবহর। এদিকে, বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়বে চেচেন যোদ্ধারা- এমনটা জানিয়েছেন পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র রমজান কাদিরভ। খবর এপির।
মুহুর্মুহু লড়াইয়ে অগ্নিগর্ভ ইউক্রেনের বাখমুত। একবিন্দু ছাড় দিতে নারাজ দুপক্ষই; সময়ের সাথে বাড়ছে প্রাণহানি। সহযোদ্ধার লাশের ওপর দাঁড়িয়েও রুশ-ইউক্রেনীয় সৈণ্যরা ছুঁড়ছেন গোলাবারুদ।
এ পরিস্থিতিতে, খোদ ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জানালেন, বাখমুতসহ পূর্বাঞ্চলে জয়-পরাজয়ের ওপরই নির্ভর করছে তার দেশের ভবিষ্যৎ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি পূর্বাঞ্চল। নিজ ভূখণ্ড দখলে রাখার জন্য, যেকোনো মূল্যে শত্রুদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে হবে। বাখমুত-ভুলেদারসহ আরও ৬টি এলাকার বিজয়ের ওপর নির্ভর করছে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ। ১৭০ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার এলাকা রয়েছে ঝুঁকিতে। কারণ, সেখানে হাজারও স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে শত্রুরা।
এদিকে, পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ আশ্বস্ত করেছেন, বিজয় কেতন ওড়ানোই পরই ক্ষান্ত হবে তার যোদ্ধারা।
রমজান কাদিরভ বলেন, রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন চেচেন যোদ্ধারা। প্রেসিডেন্ট পুতিনের যেকোন নির্দেশনা মানতে তারা প্রস্তুত। বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়বো। চেচেনদের বিশ্বাস, বৃহত্তর কল্যাণেই সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
আগামী সপ্তাহেই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। একইসাথে, ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রপ্রধানের সাথেও প্রথমবার কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। মার্কিন প্রশাসনের পরামর্শ, কূটনৈতিক সাফল্যের জন্য প্রয়োজন ভারসাম্য।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, বিশ্বমঞ্চে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের তৎপরতা বেড়েছে। তিনি আগামী সপ্তাহে আবারও রাশিয়া যাচ্ছেন। তার প্রতি আহ্বান, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সাথে সরাসরি কথা বলুন। শুধু রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি দেখলেই হবে না, ইউক্রেন কেমন ভোগান্তিতে আছে- সেটাও জানা দরকার। এর ফলে, কূটনৈতিক উদ্যোগে ভারসাম্য আসবে।
প্রসঙ্গত, লবণ ও জিপসাম খনির জন্য বিখ্যাতবাখমুতকে বলা হয় দোনবাসের প্রবেশদ্বার। গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটি দখলে নিলে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল কব্জায় নেয়া অনেকটাই সহজ হবে রাশিয়ার জন্য।
/এসএইচ



Leave a reply