Site icon Jamuna Television

এক থালায় ৫ উটের মাংস ও আড়াই হাজার কেজি ‘কুসকুস’ পরিবেশন!

লিবিয়ার জাতীয় খাবার 'কুসকুস'। ছবি : সংগৃহীত

লিবিয়ার জাতীয় খাবার ‘কুসকুস’। বিশেষ এ খাবার তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। নিজেদের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে দেশটিতে বেসরকারি একটি সংস্থার উদ্যোগে কুসকুস দিবস আয়োজন করা হয়। দিনটিতে বিশালাকার থালায়, পরিবেশন করা হয় খাবারটি। এবার এক থালায় আড়াই হাজার কেজি কুসকুস এবং পাঁচটি উটের মাংস একসাথে পরিবেশন করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

জানা গেছে, কুসকুস লিবিয়াসহ উত্তর আফ্রিকার আরব দেশগুলোর জনপ্রিয় খাবার। সাধারণত বিশেষ দিন ও হিজরি নববর্ষে এই খাবার খায় লিবিয়ার বাসিন্দারা।

বিশ্ব দরবারে নিজেদের জাতীয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবারটিকে তুলে ধরতে লিবিয়ায় তিন বছর ধরে আয়োজন করা হয় কুসকুস দিবস।

সাব্রাতাহ শহরে দেশটির বিখ্যাত ২০ জন শেফ রান্না করেছে অন্তত আড়াই হাজার কেজি কুসকুস। পরে ১৩ ফিটের বেশি ব্যাসের সুবিশাল থালায় পাঁচটি উটের মাংসের সাথে তা পরিবেশন করা হয়।

লিবিয়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান আলি আল ফুতিমি বলেন, কুসকুসকে আরব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করার জন্য কয়েকটি আফ্রিকান আরব দেশ একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করেছে। লিবিয়া তাদের সে চুক্তির অংশ না হলেও কুসকুস আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার। আমরা কুসকুস দিবসকে জমকালো রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছি। ইউনেস্কো ও অন্যান্যদের এই বার্তা দিতে চাই, এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো কুসকুস লিবিয়ার পরিচয়ও বহন করে।

উৎসবে কুসকুসের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন আয়োজকরা। ব্যতিক্রমী আয়োজন দেখতে লিবিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমান বিপুল সংখ্যক ভোজন রসিক।

উৎসবে আসা এক নারী বলেন, লিবিয়ার আর দশজন নারীর মতো আমিও রান্না পছন্দ করি। অনেক দূর থেকে উৎসবে এসেছি। আমার এলাকায় কুসকুস অনেক জনপ্রিয় খাবার। আয়োজকদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

আরেকজন বলেন, ত্রিপোলি থেকে এখানে এসেছি। ভালো সময় কাটছে। সবাই এ উৎসব উপভোগ করেছে। কুসকুস অসাধারণ খাবার। আশা করছি, প্রতিবছরই এমন আয়োজন হবে।

কুসকুস মূলত সুজি বা গম-ভুট্টা দিয়ে বানানো হয়, যা পরে মাংস অথবা সবজির সাথে রান্না করা হয়। সুঘ্রাণের জন্য ব্যবহার করা হয় পেয়াজ ও লবঙ্গ।

এএআর/

Exit mobile version