Site icon Jamuna Television

টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তালিকা যাচাই করছে

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কক্সবাজারের টেকনাফে অবস্থান করছে মিয়ানমারের ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রত্যাবাসনে তালিকাভুক্ত পরিবারের বাদ পড়া সদস্য রোহিঙ্গাদের বিষয়ে যাচাইবাছাই শুরু করেছে প্রতিনিধি দলটি।

বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টায় নৌ পথে ২২ সদস্যের দলটি টেকনাফে পৌঁছার। এ সময় তাদের অভ্যর্থনা জানান ত্রাণ প্রত্যাবাসন ও শরনার্থী বিষয়ক কমিশন। পরে প্রতিনিধি দলটিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের রেস্ট হাউসে নিয়ে যান তিনি। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। এখন রোহিঙ্গাদের যাচাইবাছাই এর কাজ চলছে। যাদের (রোহিঙ্গা) সকালে ক্যাম্প থেকে রেস্টহাউসে আনা হয়।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে উদ্যোগী হওয়ায় মিয়ানমারের পাইলট প্রকল্পের আওতায় এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। তবে এর আগে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বিতাড়নের তিন মাসের মাথায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রত্যাবাসন বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি সই হলেও গত প্রায় ছয় বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনও অগ্রগতি হয়নি।

এছাড়া ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বেঁধে দেয়া সময়ে এক দফা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে চীনের মধ্যস্থতায় ২০১৯ সালে আবার প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এ ঘটনার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোর মুখ দেখেনি।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের পাঠানো তালিকা থেকে মিয়ানমার যে সমস্ত রোহিঙ্গাকে তাদের নাগরিক হিসেবে যাচাইবাছাই করে ফিরতি তালিকা দিয়েছিল, তা-ই হচ্ছে বৈঠকের আলোচনার বিষয়।

এর আগে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে ৮ লাখ ৬২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেয়া হয়েছিল। ওই তালিকা যাচাইবাছাই শেষে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছিল মিয়ানমার। শুরুতে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের আওতায় এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার কথা এখন বলা হচ্ছে।

/এমএন

Exit mobile version