Site icon Jamuna Television

বিস্কুট দেয়ার লোভ দেখিয়ে শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সদর উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে দুই যুবক শিশুটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ স্বজনদের। অসুস্থ শিশুটি বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে প্রতিবেশী সহোদর দুই ভাইসহ তিনজনকে আসামি করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন, ফুলছড়ি উপজেলার সৈয়দপুরঘাট গ্রামের হেলাল খন্দকারের ছেলে মনি মিয়া (২২), আকাশ মিয়া (১৮) এবং সদর উপজেলার দক্ষিণ গিদারি (ফলিয়ার ঘোপ) গ্রামের তারা খন্দকারের ছেলে মশিউর খন্দকার (২০)।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিশুটিকে আগে থেকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল প্রতিবেশী আকাশ ও মশিউর। গত ১৩ মার্চ বিকেলে শিশুটি বাড়িতে একাই খেলছিলো। এ সময় সুযোগ বুঝে আকাশ ও মশিউর শিশুটিকে বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশে নিয়ে যায়। এরপর শিশুটিকে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে তারা দুজনে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরা হয়। একপর্যায়ে শিশুটির গোঙানির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত দুই যুবক পালিয়ে যায়।

হাসপাতালে থাকা ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে আকাশ ও মশিউর। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিযুক্তরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত আকাশের ভাই মনি মিয়া বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ঘটনা কাউকে না জানানো এবং মামলা না করতেও চাপ দিচ্ছেন তিনি। অভিযুক্তরা এলাকায় প্রভাবশালী এবং মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।

শিশুটির বাবা আরও বলেন, ধর্ষণ ও হুমকির অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু পুলিশ এখনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এতে পরিবার নিয়ে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।

এদিকে, এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি অভিযোগের বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হলেও তাদের স্বজনদের কেউ মুখ খোলেনি।

এটিএম/

Exit mobile version