Site icon Jamuna Television

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউরোপের ব্যাংকে বিপর্যয়

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতে বিপর্যয়ের প্রভাব পড়লো ইউরোপেও। এবার অনিশ্চয়তার মুখে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং জায়ান্ট ক্রেডিট সুইস। দেউলিয়াত্ব ঠেকাতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৫৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি, শক্ত অবস্থানে আছে তাদের ব্যাংকিং খাত। এদিকে এই অনিশ্চয়তার প্রভাব পড়েছে, এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকার বড় বড় স্টক মার্কেটে। উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়েছে ব্যাংকের শেয়ারের। খবর সিসিটিভি প্লাসের।

সিলভারগেট, সিলিকন ভ্যালি আর সবশেষ সিগনেচার ব্যাংক। দু’সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দেউলিয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের জায়ান্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। যার প্রভাব পড়ে সমগ্র বিশ্বেই।

আমেরিকার পর এবার চরম ধাক্কা খেলো ইউরোপ। টালমাটাল পরিস্থিতিতে সুইজারল্যান্ডের অন্যতম বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। সর্বোচ্চ শেয়ারহোল্ডার সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক নতুন তহবিল দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর বুধবার একদিনেই প্রায় ৩০ শতাংশ দরপতন দেখে প্রতিষ্ঠানটি। এদিন নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে ক্রেডিট সুইসের শেয়ারের দাম পড়ে যায় ১৪ শতাংশ।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক গ্রেগ সোয়েনসন বলেন, ক্রেডিট সুইস ব্যাংকের ওপর দিয়ে বড়সড় ঝড় যাচ্ছে। সিলিকন ভ্যালি বা সিগনেচার ব্যাংকের মতো একই ধরণের চ্যালেঞ্জের মুখে এটি। আমানত তুলে নিয়েছেন অনেকে। ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা নজরে আসার মতোই।

ব্যাংকটির প্রতিবেদনে, ব্যবস্থাপনা ত্রুটির কথা স্বীকারও করেছে ১৮৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্রেডিট সুইস ব্যাংক। আমানতকারীদের ভরসা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বলছে, প্রয়োজনে আরও তহবিলের যোগান দেওয়া হবে। ইইউ নেতারা, ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ বলেন, ইউরোপীয় ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা অনেক বেশি এখন। তারল্য সংকট নেই। সংকট মোকাবেলার ব্যাংকারদের দক্ষতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বেশি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন ব্যাংকিং বিপর্যয়ের প্রভাব পড়বে না দাবি করলেও, এই ইস্যু থেকে শিক্ষা গ্রহণের কথা জানায়, জোটের আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

ইইউ’র ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস চিফ মেইরেড ম্যাকগিনেস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছি। মার্কিন ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে আমাদের সামনে অনেক বিষয় উঠে এসেছে, যা নিয়ে সতর্ক হতে হবে। বিদেশি আমানতকারীদের বিষয়ে কঠোর নীতিমালা অনুসরণ করা প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপের ব্যাংকে অনিশ্চয়তার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও। বিশ্বের বড় বড় স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যাংকের শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হয়েছে।

এটিএম/

Exit mobile version